Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно ১ বছরও বাকি নেই ২০২৬ এর নির্বাচনের, যদি বিরাট নতুন কিছু না হয়, তাহলে কী ফলাফল দেখবো আমরা? или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
এই মূহুর্তে রাজ্যে নির্বাচন হলে কী হবে? । আজ ২০ মে, ২০২৫। ক্যালেন্ডারের পাতা উলটে আর ৩৬৫ দিনও নয়, তার আগেই বাংলায় নতুন সরকার শপথও নিয়ে নেবে, হ্যাঁ আমি ২০২৬ এর নতুন সরকারের কথা বলছি। ১০ মাসের মাথায় নির্বাচনের প্রচার তুঙ্গে উঠবে, ১১ মাসের মাথায় ভোট আর ১২ মাস পুরনোর আগেই নতুন সরকার শপথ নেবে। ভারত – পাক – বাংলাদেশ ইত্যাদি জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করার সময়েই মনে হলো এ নিয়ে আগাম একটা আলোচনা হওয়া দরকার। মজার কথা হল সেই ২০২৬ কিন্তু বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে, সেদেশেও নির্বাচিত সরকার আসবে। সেখানেও নানান সমীকরণ গড়ে উঠছে, নানান হিসেব নিকেশ, রাজনীতির নানান প্যাঁচ পয়জার, কিন্তু তা নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করবো। আজ আলোচনা এই বাংলার রাজনীতি নিয়ে, পশ্চিম বঙ্গের আগামী সরকার নিয়ে। আমরা তার আগে একটু ২০১১ থেকে নির্বাচনের ইতিহাসটা একবার ঝালিয়ে নিই। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন: পালাবদল বা পরিবর্তন তৃণমূল কংগ্রেস: ভোট শতাংশ: ৩৮.৯৩% আসন সংখ্যা: ১৮৪। কংগ্রেস: ভোট শতাংশ: ৮.৯% আসন সংখ্যা: ৪২ সিপিআই(এম): ভোট শতাংশ: ৩০.১০% আসন সংখ্যা: ৪০, বিজেপি: ভোট শতাংশ: ৪.০৬% আসন সংখ্যা: ০ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন: সিপিএম বা বাম কংগ্রেসের একটা আধখানা বোঝাপড়া। সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস: ভোট শতাংশ: ৪৫.৬৩% আসন সংখ্যা: ২১১ কংগ্রেস: ভোট শতাংশ: ১২.২৫% আসন সংখ্যা: ৪৪ সিপিআই(এম): ভোট শতাংশ: ১৯.৭৫% আসন সংখ্যা: ৩২ বিজেপি: ভোট শতাংশ: ১০.১৬% আসন সংখ্যা: ৩ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন: তৃণমূল কংগ্রেস: ভোট শতাংশ: ৪৮.০২% আসন সংখ্যা: ২১৩ বিজেপি: ভোট শতাংশ: ৩৮.১৩% আসন সংখ্যা: ৭৭ সিপিআই(এম): ভোট শতাংশ: ৬.২৬% আসন সংখ্যা: ০ কংগ্রেস: ভোট শতাংশ: ২.৯৩% আসন সংখ্যা: ০ ওনাদের জোটের আই এস এফ এর নওয়াজ সিদ্দিকি একটা আসনে জিতেছিলেন। ২০১১। ১৬ ২১ এর তিনটে নির্বাচনেই তৃণমূলের ভোট একটু হলেও বেড়েছে, আর সিপিএম বা বামেদের ভোট হু হু করে কমেছে। আর এই বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে যদি আমরা লোকসভার নির্বাচনকেও জুড়ে দিই তাহলে বুঝবো যে সেখানেও তৃণমূলের ভোট সেই ২০১৯ এ ২০১৬ র বিধানসভার তুলনায় একটু কমলেও, বাকি প্রত্যেকটা নির্বাচনে বেড়েছে। এই ফলাফলের আরেকটা সোজা অনুমান হল সিপিএম বা বামেদের বিরাট ভোট বিজেপি তে গেছে, আর মমতা বিরোধী সেই ভোটই পুষ্টি যুগিয়েছে বিজেপিকে, ২০১৯ এ, ২০২১ এ, ২০২৪ এ বিজেপির এই ভোটের বড় অংশই হল বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের ভোট। যদি আমরা ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকাই, তাহলে গ্রামীণ গরীব মানুষ, সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগ, শহরের দরিদ্র অংশের ভোট পেয়েছে তৃনমূল। অন্যদিকে রাজ্যের মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত হিন্দুদের ভোটের একটা বড় অংশ পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস তার পকেট ভোট মানে ঐ মালদা মুর্শিদাবাদ এ কিছু ভোট পেয়েছে আর সিপিএম, বলা ভালো এক্কেবারে ডাই হার্ট পার্টি কর্মী, সদস্যদের ভোট পেয়েছে, যা আর খুব বেশি কমবেনা। এবার আসুন কোনও নয়া সমীকরণের কথায়। বিজেপির সঙ্গে কোনও দলের কোনও জোট সম্ভব নয়, নতুন কোনও সংগঠন তৈরি হয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট হবে, তেমন কোনও মঞ্চ ইত্যাদি নেই, কাজেই সেই প্রশ্নও নেই। এবার প্রশ্ন বাম কংগ্রেস ভোট হবে কি হবে না। অনেকের এ নিয়ে দ্বিধা আছে, আমি কিন্তু এক্কেবারে পরিস্কার জানিয়ে দিচ্ছি ২০২৬ এ বাংলাতে বাম কংগ্রেস জোট হবে না। সম্ভবত এই ২০২৬ ই কেরালা কংগ্রেস তাদের এই তাবৎকালের সবথেকে কঠিনতম লড়াই লড়তে যাচ্ছে কেরালাতে, সিপিএম এর বিরুদ্ধে, সে বছরে তারা দেশের আরেক কোনাতে সিপিএম এর সঙ্গে দোস্তির ট্যাগ ঝোলাতে চাইবে না, কারণ কেরালাতে বিজেপির ভোট বেড়ে কিন্তু ১৬%। তাদের কাছে ৩/৪/৫ % ভোট চলে যাওয়া মানে কংগ্রেসের ক্ষমতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে যাওয়া। কাজেই এ রাজ্যে কংগ্রেস সিপিএম জোট হবে না। কিন্তু কংগ্রেস তৃনমূল জোট হবে কি? এ রাজ্যে আপাতত কংগ্রেসের মধ্যে জোট পন্থীদের সংখ্যা কিন্তু এখন অনেক বেশী, বিশেষ করে কংগ্রেসের তরুণ নেতারা জোট চান, এম এল এ হতে চান, মন্ত্রী হতে চান, পাওয়ার পলিটিক্স এ ফেরত আসতে চান। আর ওনারা জানেন তৃণমূলের সঙ্গে জোট হলে শূন্য থেকে ৭-১০ টা আসন পেলেও পেতেই পারে কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী জানেন, লড়াই ক্রমশ কঠিন হচ্ছে, সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশও তিনি ছাড়তে রাজি নন, সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে আসা মানে সেই ভোটের কিছুটা শ্রীবৃদ্ধি, এমনকি নির্বাচনের আগে আই এস এফ বা নওয়াজ সিদ্দিকির সঙ্গে একটা বোঝাপড়াও অসম্ভব নয়। তবে আপাতত হিসেবে দুটো অপশন খুলে রাখা ভালো।