Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно দেখুন কোরআনে ১৪শ বছর আগে ইতালির মহামারীর ভবিষ্যৎবাণী ও রোমানদের ইতিহাস! или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের আগেই পৃথিবীর পরাশক্তি হিসেবে রোম সাম্রাজ্য (বাইজেন্টাইন) ও পারস্য সাম্রাজ্য (বর্তমান ইরান) আত্মপ্রকাশ করে। রোমের সীমানা ছিল সিরিয়া থেকে পশ্চিমে স্পেন পর্যন্ত। আর পারস্যের সীমানা ছিল ইরাক থেকে পূর্বে খোরাসান (আফগানিস্তান) পর্যন্ত। রোম আর পারস্য উভয়েই যুগের পর যুগ ধরে পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত থাকত। ৬০৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানদের সঙ্গে পার্সিয়ানদের যুদ্ধ শুরু হয়। পার্সিয়ানরা একের পর এক রোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিচ্ছিল। রোমানরা ছিল খ্রিস্টান, অন্যদিকে পার্সিয়ানরা ছিল অগ্নিপূজক। এক পর্যায়ে যুদ্ধটা ধর্মীয় যুদ্ধে রূপ নেয়। ৬১৫ খ্রিস্টাব্দে পার্সিয়ানরা দামেশক, বায়তুল মাকদিস পর্যন্ত দখল করে নেয়। পার্সিয়ান সম্রাট খসরু পারভেজ হেরাক্লিয়াসের নিকট যে পত্রটি লিখেছিল, তাতে স্পষ্টই বোঝা যায় যুদ্ধটা ধর্মীয় যুদ্ধে রূপ নিয়েছিল। মুসলিমরা যখন রোমানদের পক্ষে সেসময় মক্কায় রাসুল (সা.) এর সঙ্গে মুশরিকদের নতুন এক ধরনের যুদ্ধ চলছিল। রোমানদের পরাজয়ের খবর শুনে মক্কার মুশরিকরা খুশী হয়েছিল, কারণ পার্সিয়ানরাও তাদের মতো পৌত্তলিক। অন্যদিকে মুসলিমদের সঙ্গে রোমানদের অনেক মিল, উভয়েই নবী, আসমানি গ্রন্থ ও আখেরাত ইত্যাদিতে বিশ্বাসী। তাই রোমানদের এই বিজয়ে মুসলিমরা দুঃখিত হয়েছিল। মুশরিকরা এই নিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে ঠাট্টা করতে শুরু করে। তখন আল্লাহ কোরআন নাজিল করলেন, ‘রোমকরা পরাজিত হয়েছে।’ (সুরা রুম, আয়াত: ২) পরবর্তী আয়াতে রোমানদের বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। ভবিষ্যদ্বাণীটি এমন সময় করা হয়, যখন রোমান সাম্রাজ্যের আর উঠে দাঁড়ানোর কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতি শিগগির বিজয়ী হবে, কয়েক বছরের মধ্যে। অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনরা আনন্দিত হবে।’ (সুরা রুম, আয়াত: ৩-৪) ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবায়ন এ প্রসঙ্গে কোরআনে অনেকগুলো ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। এর একটি হলো রোমানরা কয়েক বছরের মধ্যে বিজয় লাভ করবে। কোরআনের এই বাণী সত্য হয়েছিল। রোমানরা পার্সিয়ানদের থেকে জেরুজালেম এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল হেরাক্লিয়াসের নেতৃত্বে দখল করে। ৬২৪ সালে তারা ইরানীদের সবচেয়ে বড় অগ্নিকুণ্ড ভেঙে ফেলে। (অর্থাৎ ৯ বছরের মধ্যেই রোমানরা পার্সিয়ানদের উপর চূড়ান্তভাবে বিজয় লাভ করে।) আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণীটি হল, ওই সময় মুমিনরা আনন্দ করবে। আগে ও পরের ঘটনা ও আয়াত গুলোতে এটা প্রকাশ্যই ধরা পড়ে, রোমানদের বিজয়ে মুমিনরা খুশী হবে। কিন্তু, যেই সময় রোমানরা পার্সিয়ান দের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে, ঠিক একই বছর মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে মুসলিমরা বদরের যুদ্ধে মুখোমুখি হয়ে বিজয় লাভ করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে। আল্লাহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।’ (সুরা রুম, আয়াত: ৩-৪) কোরআনের এই ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হওয়ার পর, মক্কার অনেক মুশরিক ইসলাম গ্রহণ করে। আল হামদুলিল্লাহ। বস্তুত আল্লাহ্ নিঃসন্দেহে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে অবগত। আল্লাহ্ দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সব কিছুই জানেন।