Скачать с ютуб কোরানে জন্মান্তরবাদ ও আধ্যাত্ববাদ ||Transcendentalism and Spiritualism in the Qur'an в хорошем качестве

কোরানে জন্মান্তরবাদ ও আধ্যাত্ববাদ ||Transcendentalism and Spiritualism in the Qur'an

কোরানে জন্মান্তরবাদ ও আধ্যাত্ববাদ || Sufi Shamsul Huda Chisti Momin master December 4, 2023 Transcendentalism and Spiritualism in the Qur'an কোরান সার্বজনীন এবং সর্বকালীন একটি বিষয়, কোরান দর্শনের আলোকে : সালাত , জাকাত , হজ্ব , কোরবানি বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।    • 10  Ekattor TV News about Tiens   এরকম আলোচনা শোনা সকলের তকদীরে থাকে না, অতি অল্প মানুষের তকদীরেই থাকে ! Qur'an is a universal and eternal subject, in the light of Qur'anic Philosophy: Salat, Zakat, Hajj, Qurbani Detailed Explanation-Analysis Hearing such a discussion is not in everyone's destiny, it is in the destiny of very few people! আল্লাহর আশ্রয়ে থাকা জান্নাত ও আমিত্বের আশ্রয়ে থাকা জাহান্নাম || Shamsul Huda Chisti Momin masterSufi Shamsul Huda Chisti Momin master December 5, 2023 তা-আউজ (অর্থাৎ আউজুবিল্লাহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ) আমি আল্লাহর সহিত আশ্রয় লইতেছি (বা আশ্রয় সন্ধান করি) প্রস্তরাহত (বা বিচূর্ণিত) শয়তান হইতে। আলোচনা : এই বাক্যটি কোরানে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বর্গীয় আদেশবাণীরূপে উল্লেখ করা হইয়াছে (১৬ : ৯৮) “ফাইজা ক্বারা তাল কোরআন ফাসতাঈজ বিল্লাহ মিনাস্ শাইতানের রাজিম।” অর্থাৎ অতএব, যখন কোরান পাঠ কর তাই তোমরা (তখন) প্রস্তরাহত শয়তান হইতে আল্লাহর সহিত আশ্রয় লও (বা আশ্রয় সন্ধান কর)। কোরানের এই নির্দেশের জবাবে আমরা উপরোক্তরূপে বলিয়া থাকি : “আমি আল্লাহর সহিত আশ্রয় সন্ধান করি প্রস্তরাহত শয়তান হইতে।” অবশ্য সকল মাজহাবের লোকেরা ইহা একইরূপে পাঠ করেন না। ব্যাখ্যা : ইহা আশ্চর্য একটি বাক্য যাহাতে কোরানের দর্শন এবং ধর্মের দর্শন সংক্ষেপে এক কথায় মূর্ত হইয়া উঠিয়াছে। ইহা এত শক্তিশালী একটি ধন্বন্তরি বড়ির মতো যে, অন্তরকে রোগমুক্ত করিয়া মুক্তির দেশে পৌছাইয়া দিতে ইহার আমলই যথেষ্ট। এই দুনিয়ার জিন্দেগী জাহান্নামেরই একটি জিন্দেগী। এই জীবন বহু প্রকার দুঃখ-কষ্টে ভরপুর। দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি বহু প্রকার কষ্ট হইতে উদ্ধার লাভের জন্য মানুষ আশ্রয় সন্ধান করিয়া থাকে । কখনও ধন-সম্পদকে আশ্রয়রূপে গ্রহণ করে, আবার কখনও বা স্বাস্থ্য, ক্ষমতা, মান-মর্যাদা, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি অনেক কিছুকেই অর্থাৎ বস্তুগত আশ্রয়কে বিপদ মুক্তির আশ্রয় মনে করিয়া গ্রহণ করে। কিন্তু ইহাই আক্ষেপ যে, আল্লাহ ব্যতীত বস্তুর যে কোন আশ্রয় তাহাকে এক জাহান্নাম হইতে অন্য জাহান্নামে নিক্ষেপ করিয়া থাকে । এইরূপ আশ্রয় সন্ধানের ফলশ্রুতি এবং উপজাত (By product) হইল বস্তুজগতের বৃদ্ধি বা তথাকথিত উন্নয়ন। সকল প্রকার দুঃখ ভোগের একমাত্র কারণ হইল শয়তান। এখন শয়তান কী? মানুষের আমিত্বই শয়তান। ‘আমি ও আমার’ ইহাই শয়তানের কথা। আমিত্বের আশ্রয়ে থাকা জাহান্নাম। আল্লাহর আশ্রয়ে থাকা জান্নাত। যে যত বেশি আমিত্ব প্রকাশ করে সে তত বেশি জাহান্নামের গভীরে বাস করে। আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিলেই আল্লাহর আশ্রয় লাভ করা যাইবে না। ইহার জন্য পূর্বশর্ত হইল ‘আমি ও আমার’ পরিপূর্ণ সমর্পণ করা বা কোরবাণী করা। এইরূপ সমর্পণের নামই ইসলাম ধর্ম। ইহা হইতে সরিয়া থাকিলে তাহা হয় আমার ধর্ম, আল্লাহর নয়। সমগ্র কোরানে উল্লিখিত জীবনদর্শন 'তা-আউজ' এর কথারই সুবিস্তার। শয়তানকে প্রস্তরাহত বা বিচূর্ণিত বলা হইয়াছে কেন? বস্তুজগতের প্রতীক হইল পাথর বা মাটি। আমিত্ব বা অহম সব সময় বস্তুর আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া মরে। আমিত্ব বিচূর্ণিত বা খণ্ডিত হইয়া থাকে— অখণ্ড আহাদের সঙ্গে অখণ্ড একক হইয়া বিরাজ করিতে পারে না। আর্শ ও কুরসী :- আল্লাহর পবিত্রতার বিকাশ মানুষ এবং জিনের মন ছাড়া সমগ্র সৃষ্টিতে প্রাকৃতিক নিয়মেই চলিতেছে। এই সকল সৃষ্টি হইল আল্লাহর কুরসী। ইহাদের মধ্যে আল্লাহর পবিত্রতা তাঁহার রচিত বিধান অনুযায়ী আপনা আপনি প্রকাশিত হইতেছে। আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ যে মনের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে কার্যকরী হয় সেই মনকে আর্শ বলে। মানুষ এবং জিনের মন যখন তসবীহ করিতে সক্ষম হয় তখনই তসবীহ হইয়া যায় হামদ এবং সেই মন বা নফস আর্শে পরিণত হইয়া যায়। আর্শের মধ্যে আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ পূর্ণভাবে কার্যকরী হইতে থাকে। আর্শ আল্লাহর কর্তৃত্ব। মোমিনের কলব এই কর্তৃত্ব প্রকাশের অধিকারী হইয়া থাকে। মোমিনগণের কলবগুলি আল্লাহর আর্শ। মোমিন আল্লাহর আদেশের ব্যতিক্রম কাজ আর কখনও করেন না। -কোরান দর্শন সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী খাজা বাবা 🌹☺️🙏 👑👑আধ্যাত্মবাদ বা সূফিবাদ👑👑 মনকে পবিত্র করণের কথা সারা কোরানেই বর্নিত হইয়াছে। অন্যভাবে বলা যাইতে পারে - আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হইয়া এবং আল্লাহর স্বভাবে স্বভাববান হইয়া, আল্লাহর রঙে রঙিত হইলেই ঐ ব্যক্তি মানুষটির ভিতরে আল্লাহর চেহারার অভিব্যক্তি ঘটে, "তাখাল্লাকু বি আখলাকিল্লাহ" অর্জন করিতে পারিলে ঐ ব্যক্তি মানুষটিকে আল্লাহর চেহারা ওয়ালা "ওয়াজহুল্লাহ" র অধিকারী বলা হয়। এমন ব্যক্তিসত্তা যাহার ভিতরে মানবীয় আচরণ বিলুপ্ত হইয়াছে, আল্লাহর স্বভাবে স্বভাববান হইয়াছে (God's hood/God's head) প্রাপ্ত এমন ব্যক্তিদের মধ্যেই " সুফি ইজম " বা সুফিবাদ চরিত্রে রূপায়িত হইয়া আধ্যাত্মবাদ বা সুফিবাদের আদর্শিক নিদর্শনরূপে আবস্থান করেন। এই সুফিবাদের মাধ্যমেই মানব মনের চরম এবং পরম শুদ্ধি অর্জন পূর্বক মুক্তির রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার চরম সৌভাগ্যের অধিকারী হওয়া যায়, তথা সিদরাতুল মুনতাহার বাসিন্দা হওয়া যায়। অর্থাৎ মুক্তি প্রাপ্তির শেষ স্তরে উন্নিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। জান্নাত আমাদের গন্তব্যস্থল নয়- জান্নাতের স্তর গুলি অতিক্রম করিয়া লা-মোকাম তথা মোকামে মাহমুদা অর্জনই মূল লক্ষ্য। মাওলা শাহ্ সূফী শামসুল হুদা চিশতী (মোমিন মাস্টার সাহেব ) (মুক্তির সোপান ) সদর মঞ্জিল, সিরাজগঞ্জ।