Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб হজ্জের ইতিহাস || হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য || এক নজরে হজ্জ ভিডিওসহ ২০২০ || Hajj 2020 || হজ্জ 2020 в хорошем качестве

হজ্জের ইতিহাস || হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য || এক নজরে হজ্জ ভিডিওসহ ২০২০ || Hajj 2020 || হজ্জ 2020 4 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



হজ্জের ইতিহাস || হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য || এক নজরে হজ্জ ভিডিওসহ ২০২০ || Hajj 2020 || হজ্জ 2020

হজ্জের ইতিহাস || হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য || Hajj 2020 ||এক নজরে হজ্জ ভিডিওসহ ২০২০ || হজ 2020 এই নশ্বর পৃথিবীর অবিনশ্বর মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কালোত্তীর্ণ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে বলেন, ‘নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য সর্বপ্রথম যে ইবাদত গৃহটি নির্মিত হয়, সেটি মক্কায় অবস্থিত। তাকে কল্যাণ ও বরকত দান করা হয়েছিল এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর হেদায়েতের কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ এবং ইব্রাহিমের ইবাদতের স্থান। আর তার অবস্থা হচ্ছে এই, যে তার মধ্যে প্রবেশ করেছে সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। মানুষের মধ্য থেকে যারা সেখানে পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন এই গৃহের হজ সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার। আর যে ব্যক্তি এ নির্দেশ মেনে চলতে অস্বীকার করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহতায়ালা বিশ্ববাসীর মুখাপেক্ষী নন।’ (সূরা আল-ইমরান : আয়াত-৯৬, ৯৭) বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহতায়ালা কত চমৎকার করে হজের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। এরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে মুসলিম জাতির জনক হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে লোকদের মাঝে হজের ঘোষণা দেওয়ার জন্য আল্লাহতায়ালা নির্দেশ প্রদান করেন। যেমন আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর মানুষের মাঝে হজের জন্য ঘোষণা প্রচার করো। তারা দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশবায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে তোমার কাছে আসবে।’ (সূরা-হজ : ২৭) আখেরি নবীর (স.) পবিত্র জবান মোবারকেও হজের অসাধারণ গুরুত্বের বিষয়টি স্থান পেয়েছে। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন, ‘রাসূল (স.) এরশাদ করেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের ওপর স্থাপিত আর সেগুলো হচ্ছে—১. এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই। আর হজরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসূল। ২. সালাত প্রতিষ্ঠা করা, ৩. জাকাত প্রদান করা, ৪. হজ করা, ৫. রামাদান মাসে রোজা রাখা।’ মিশকাত-(২) উল্লেখিত হাদিসে হজকে ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া আল্লাহর প্রিয়তম হাবিব তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘হে মানবমণ্ডলী, তোমাদের ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে, সুতরাং তোমরা সবাই হজ আদায় করো।’ (মিশকাত-২০০৭) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন, “রাসূল (স.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন আমল সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ইমান আনা। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, এর পর কোন আমলটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে ‘জিহাদ করা’। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলো, এর পর কোন আমলটি? জবাবে বলেন, ‘হজে মাবরুর’ তথা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হজ।” (বুখারি ও মুসলিম) সঠিকভাবে ও ইখলাসের সঙ্গে হজ আদায়কারী নিষ্পাপ শিশুর মতো হয়ে যায়। যেমন—হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করল এবং হজ সম্পাদনকালে কোনো প্রকার অশ্লীল কথা ও কাজ কিংবা গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে সদ্যোজাত নিষ্পাপ শিশুর ন্যায় প্রত্যাবর্তন করল। (বুখারি ও মুসলিম) অন্য হাদিসে বিশ্বনবী (স.) বলেন, হজে মাবরুর বা কবুল হজের বিনিময় হলো (আল্লাহর) জান্নাত।’। (মিশকাত-২০১০) হজে গমনকারী ব্যক্তির কতই না খোশ নসিব যে, সে আল্লাহর যাত্রীদলের অন্তর্ভুক্ত। যেমন হাদিস শরিফে এসেছে, প্রিয় নবী (স.) বলেন, ‘তিন শ্রেণির লোক আল্লাহর যাত্রীদল, (তারা হলো) যোদ্ধা, হাজি ও ওমরাহকারী।’ (মিশকাত-২০৩৮) হজের অনন্য মর্যাদার কারণেই প্রিয় নবী (স.) হজ সম্পন্নকারীর কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য আদেশ করেছেন। যেমন : হাদিস শরিফে এসেছে, বিশ্বনবী (স.) বলেন, যখন তুমি কোনো হাজির সাক্ষাৎ পাবে, তখন তাঁকে সালাম করবে, মুছাফাহা করবে এবং তিনি তাঁর গৃহে প্রবেশ করার পূর্বে তোমার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করবে। কেননা, হাজি হলেন ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (মিশকাত-২০৩৯) হজ শুধু পরকালীন কল্যাণই বয়ে আনে না, বরং ইহকালের কল্যাণের বারতাও নিয়ে আসে। যেমন—আমাদের প্রিয় রাসূল (স.) বলেন, তোমরা হজ ও ওমরাহ বিলম্ব না করে পরস্পর সম্পাদন করো। কারণ, এ দুটো ইবাদত দারিদ্র্য ও পাপসমূহকে এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাপর লৌহ ও স্বর্ণ-রৌপ্যের ময়লা দূর করে দেয়। ( মিশকাত-১০২৬) সত্যিই হজ মুসলিম মিল্লাতের জন্য সৌভাগ্যের পরশ পাথরের ন্যায়। কেননা, রাসূল (স.) বলেছেন, হজ ব্যক্তির পূর্বের গুনাহ ধ্বংস করে দেয়। তাই রাসূল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি হজের ইচ্ছা করেছেন, তিনি যেন তাড়াতাড়ি করেন। (মিশকাত-২০১৫) রহমাতুলিল আলামিন এক মহা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। আর তা হলো, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ পরিমাণ পাথেয় এবং বাহনের মালিক হয়েছে, যা তাকে আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেবে, অথচ সে হজ করেনি। সে ইহুদি কিংবা নাছারা হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, এতে কিছু আসে-যায় না।’ আর এটা এই জন্য যে, মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, সে মানুষের ওপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহর হজ ফরজ, যে সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য লাভ করেছে। আর হজ হচ্ছে গোটা মুসলিম মিল্লাতের মহাঐক্যের সম্মেলন, যাতে সমগ্র দুনিয়ার মুসলমানদের রক্ত, বর্ণ, ভাষা ও ভৌগোলিক সীমারেখার বিভিন্নতা ভুলে এককেন্দ্রিক হওয়ার পথ খুঁজে পায়। এর মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের চিত্র ফুটে ওঠে। এটি মুসলমানদের মধ্যে ইমানি জজবা ও ইসলামী চেতনা সৃষ্টি করে। #হজ্জ #Jannat_Islamic_Tv হজ 2020 হজ্জ হজ্জ করার নিয়ম হজ্জ কি ও কেন হজ্জ লাইভ ২০২০ হজ্জ ও উমরা হজ্জ কিভাবে করতে হয় হজ্জ কাদের উপর ফরজ হজের গুরুত্ব হজ্জ সম্পর্কে হাদিস

Comments