Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно #RohinParab или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
রহইন পরব" নদিয়ার আদিবাসী সমাজের হারিয়ে যাওয়া লোকঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ এবং সমাজের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে দিশারী পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই নিরলস কাজ করে চলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চাঁদপুর আদিবাসী গ্রামে উদযাপিত হলো একটি লুপ্তপ্রায় পরব—"রহইন পরব"। এই উৎসবটির তাৎপর্য গ্রামবাসী এবং কলতানের শিশুদের মাঝে তুলে ধরতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন দিশারীর সদস্যরা। নদীয়ার চাঁদপুর আদিবাসী গ্রামের রহইন বা রহিন পরব,‘রহইন’ শব্দটি এসেছে ‘রোহিনী নক্ষত্র’ থেকে। বিশ্বাস করা হয়, জ্যৈষ্ঠ মাসে যখন রোহিনী নক্ষত্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকে, তখন বীজ বপন করলে ফলন ভালো হয়। তাই এই সময়ে সপ্তাহব্যাপী চলে রহইন পরবের নানা আচার-অনুষ্ঠান। ভোরবেলায় গ্রামের মহিলারা গোবর দিয়ে আঙিনা ও বাড়ির চারপাশ লেপে পরিষ্কার করেন, এবং বাড়িকে ঘিরে ফেলেন। তারপর সেই গোবর-লেপা জমিতে আঁকা হয় দৃষ্টিনন্দন আলপনা। পরিবারের একজন পুরুষ নতুন ধুতি পরে বীজ নিয়ে ক্ষেতের দিকে রওনা দেন, মাটিকে প্রণাম করে বীজ বপন করেন। এই সময়টাতে বিষাক্ত জীবজন্তুর উপদ্রব বেশি বলে ধরা হয়, তাই সবাই তেতো ফল খেয়ে থাকেন। নদিয়ায় রহিন ফল না থাকায়, তার পরিবর্তে নিমপাতা খাওয়ানো হলো প্রতিকারের প্রতীক হিসেবে। এই পরবে শিশুদের অংশগ্রহণও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাচ্চারা "রহিন মাটি" তুলতে যায়। নিঃশব্দে আনা সেই মাটি বাড়িতে এনে রাখা হয় তুলসী মঞ্চে ও প্রতিটি দরজার পাশে।এই মাটি অ ত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয় আদিবাসী সমাজে। এটি প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও মাটির সঙ্গে আত্মিক সংযোগের প্রতীক।ছেলেমেয়েরা ভূত-প্রেতের সাজে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পিঠে, টাকা, তেল সংগ্রহ করে, কেউ কেউ মাটিতে গড়াগড়ি খেলেও দেখা যায়।