Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно কাপ্তাই লেক। Kaptai lake или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
ভ্রমণপিপাসু এবং প্রকৃতি প্রেমীরা সময় পেলেই ছুটে যায় প্রকৃতির নিকটে। ব্যস্তময় জীবনে সময় পেলেই মন যেন আর ঘরে থাকতে চায় না। আর প্রকৃতিও ক্ষণে ক্ষণে বদলায় তার রূপ। হয়ে উঠে মায়াময় এবং মোহনীয়। মায়াময় এই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যেতে পারেন সবুজ ও শ্যামল পাহাড়, ঝর্ণা, এবং জলের সমারোহে সুসজ্জিত কাপ্তাই লেকে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য যেন জড়িয়ে রয়েছে এই কাপ্তাই লেকে। পাহাড়, জল এবং মেঘের খেলায় মেতে আছে কাপ্তাই লেক। কাপ্তাই লেকঃ পার্বত্য চট্রগ্রামে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা। এখানেই রয়েছে এশিয়ার সবচাইতে বড় লেক কাপ্তাই লেক। এতে সবুজে ঘেরা পাহাড়ি ঝর্ণা, আঁকাবাঁকা রাস্তা এবং ছোট ছোট পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য আপনার ব্যস্থময় জীবনে আনবে স্বস্তি। প্রায় ১১,০০০ হাজার বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত কৃত্রিম এই হ্রদটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড়। এই লেকের একদিকে পাহাড়গুলোতে যেমন আছে সবুজে ঘেরা গাছের সমারোহ, অপরদিকে লেকের জলে রয়েছে বহু প্রজাতির মাছ। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কর্ণফুলি নদীর উপর নির্মান করে কাপ্তাই হ্রদ। রাঙ্গামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর জমি প্লাবিত হয়েই এই লেকের সৃষ্টি। এটি আমেরিকান অর্থায়নে নির্মান করা হয়। পরবর্তিতে ১৯৬২ সালে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় লেকটি। কৃত্রিম হলেও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ঘিরে আছে এই হ্রদে। কাপ্তাই লেকে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। লেকের চারপাশটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা। চলুন জেনে নিন কি আছে এই কাপ্তাই লেকে- নৌকা বা বোটের ব্যবস্থাঃ প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে নৌকা বা বোটে করে লেকের জলে ভেসে ভেসে চারপাশটা দেখে নিতে পারেন। নৌ বিহার কিংবা প্যাডেল বোটে (paddle boat) করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা আছে এই লেকে। চাইলে দলবেঁধে নৌ বিহার করতে পারেন। এছাড়াও স্পিডবোট (speedboat) কিংবা রিজার্ভ নৌকার ব্যবস্থাও আছে এই লেকে। কাপ্তাই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটঃ কাপ্তাই লেকের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রয়েছে প্যারাডাইস পিকনিক স্পট। পাহাড় থেকে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে এই পিকনিক স্পট ঘুরে আসতে পারেন। কাপ্তাই লেক ঝুলন্ত ব্রিজঃ কাপ্তাই লেকে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ। ব্রিজে উঠে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পারেন। চাইলে নৌকা করে জলে ভেসেও এই ব্রিজ দেখে নিতে পারেন। কাপ্তাই লেক শুভলং ঝর্ণাঃ কাপ্তাই লেকে অনেক পাহাড়ি ঝর্ণা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুভলং ঝর্ণা । নৌকা করে আপনি এই ঝর্ণাটি খুব কাছ থেকে দেখে নিতে পারেন। কায়াকিং এর ব্যবস্থাঃ লেকের ধারে কর্ণফুলি নদীতে রয়েছে কায়াকিং (kayaking) এর ব্যবস্থা। আপনি চাইলে দলবল নিয়ে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে নিতে পারেন। শেখ রাসেল ইকোপার্কঃ কাপ্তাই লেকের পাশেই রয়েছে শেখ রাসেল ইকো পার্ক। এই পার্কে রয়েছে ক্যাবল কারের (cable car) ব্যবস্থা। ক্যাবল কারে চড়ার ইচ্ছা থেকে থাকলে এই পার্কে গিয়ে এই অভিজ্ঞতাও নিয়ে নিতে পারেন। অসাধারণ এই লেকের চারপাশের পরিবেশ, ছোট ছোট দ্বীপ, বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং জলের ধারে বসবাসরত মানুষের জীবনযাত্রা আপনাকে প্রতিটি মূহুর্ত খুবই মুগ্ধ করবে। ফলে বারবার ছুটে যেতে চাইবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই কাপ্তাই লেকে। খাবারের ব্যবস্থাঃ কাপ্তাই লেকের মধ্যে ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপগুলোতে রয়েছে কিছু রেস্টুরেন্ট। ঘুরাঘুরির মাঝে এইসব রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে পারেন কিংবা খাবার সংগ্রহ করতে পারেন। তাছাড়া কাপ্তাইয়ে রয়েছে অনেক ছোট বড় রেস্টুরেন্ট। চাইলে এসব রেস্টুরেন্টে গিয়েও খেতে পারেন। কাপ্তাই হ্রদে নৌবাহিনীর ঘাঁটি সংলগ্ন ভাসমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্টুরেন্ট। চাইলে এই রেস্টুরেন্টে গিয়েও খেতে পারেন। থাকার ব্যবস্থাঃ কাপ্তাই লেকের ধাঁরে রাতে থাকার জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা নাই। তাই থাকার প্ল্যান নিয়ে আসলে আগে থেকেই কাপ্তাই সরকারি রেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আসা ভালো। তাছাড়াও পিডিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনী কিংবা বন বিভাগের রেস্ট হাউসগুলোতে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিভাবে যাবেনঃ কাপ্তাই লেক যেতে চাইলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে বাস ধরে সরাসরি যেতে পারেন। চাইলে আগে চট্টগ্রাম গিয়ে বাস ধরে কাপ্তাই যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস ধরে যেতে পারেন এই কাপ্তাই লেকে। সেক্ষেত্রে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা সময় লাগে। সায়দাবাদ কিংবা কমলাপুর থেকে বাস ধরতে হবে। তাছাড়া চাইলে চট্টগ্রাম থেকেও যেতে পারেন কাপ্তাই। চট্টগ্রাম বদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতি ২০ মিনিট পরপর কাপ্তাইয়ের জন্য বাস ছাড়ে। ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হবে। তারপর চট্টগ্রাম বদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ডে নেমে বাস ধরে সরাসরি কাপ্তাই লেকে পৌঁছে যাবেন। ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ #কাপ্তাইলেক#FS_TV