Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ycliper.com Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно মদ্যপান সম্পর্কে শরীয়ত কী বলে | আহমাদ বিন আব্দুস সালাম | ahmad bin Abdus salam..... или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
ভালো কিছু পেতে এই চ্যানেলটিকে সঙ্গে রাখতে পারেন ধন্যবাদ 💝 আল্লাহ তাআলা হলেন সারা জাহানের রব। ‘রব’ হলেন সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা ও রক্ষাকর্তা। ইসলামি নীতিমালাগুলো সৃষ্টির সুরক্ষার অনুকূলেই নাজিল হয়েছে। শরিয়তের বিধানের উদ্দেশ্যসমূহকে ‘মাকাসিদে শরিয়া’ বলা হয়। মাকাসিদে শরিয়া পাঁচটি, যথা জীবন রক্ষা, সম্পদ রক্ষা, জ্ঞান রক্ষা, বংশ পবিত্রতা রক্ষা, ইমান আকিদা রক্ষা। মাদক, জুয়া ও ব্যভিচার মানুষের ঘরসংসার, পরিবার-পরিজন, ধনসম্পদ, বিবেক-বুদ্ধি-জ্ঞান, মানসম্মান, জীবন ও জগৎ, ইহকাল ও পরকাল সবকিছু বরবাদ করে দেয়। ইসলামে মানব হত্যা নিষিদ্ধ এবং হত্যার পরিবর্তে হত্যা জীবন সুরক্ষার জন্য। জুয়া ও চুরি নিষিদ্ধ এবং চুরির দায়ে হাত কাটা সম্পদ সুরক্ষার জন্য। সব ধরনের মাদক বা নেশাদ্রব্য নিষিদ্ধ, এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি সুরক্ষার জন্য। কারণ, মানুষের ‘আকল’ বা সুষ্ঠু স্বাভাবিক জ্ঞান সুরক্ষিত না হলে সে নিজের, পরিবারের, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের সবার ক্ষতি করবে। ব্যভিচার নিষিদ্ধ, নারী-পুরুষের বৈবাহিক সূত্রে পবিত্র বন্ধন বংশগতির পবিত্রতা সুরক্ষার জন্য। তা না হলে মানুষ আর ইতর প্রাণীর প্রভেদ থাকে না। জগতের সব অপরাধের সঙ্গে তিনটি বিষয় সংশ্লিষ্ট, যথা অবৈধ অর্থসম্পদ, মাদক ও অবৈধ নারীসঙ্গ। মানবসভ্যতা ধ্বংসের পেছনেও এই তিন কারণ বিদ্যমান থাকবে। কোরআন কারিমে বলা হয়েছে, ‘(হে রাসুল সা.) লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, উভয়ের মধ্যে আছে মহা পাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু এগুলোর পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২১৯)। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলো ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞানতার প্রসার ঘটবে, মদ্যপান ও মাদকের বিস্তার ঘটবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৮০)। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি নিষিদ্ধ বস্তুর অন্যতম হলো নেশা বা মাদকদ্রব্য, জুয়া তথা অসৎ উপার্জন ও অবৈধ নারীসঙ্গ। কিছু অপরাধ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে; ইচ্ছা করলে তা ছাড়া যায়। মাদকের নেশা, জুয়ার নেশা ও অবৈধ নারীসঙ্গের আকর্ষণ এমন অপরাধ, যা নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; সে নিজেই এসবের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে চাইলেই সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে না; অপরাধী অপরাধকে ছাড়তে চাইলেও অপরাধ অপরাধীকে ছাড়ে না, অপরাধ জগৎ থেকে অপরাধী বের হয়ে আসতে পারে না। মাদক, জুয়া ও ব্যভিচার অপরাধের আকর, যাতে চক্রবৃদ্ধি হারে অপরাধের শৃঙ্খল তৈরি হয়। কোরআন কারিমে বর্ণিত হারুত ও মারুত এই মাদকের নেশায়, অবৈধ অর্থের লোভে ও অবৈধ নারীসঙ্গ পাওয়ার মোহে অন্ধ ও মাতাল হয়েই খুনখারাবিসহ নানা অপরাধের জালে আবদ্ধ হয়ে পাপের শিকলে শৃঙ্খলিত হয়েছিল। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১০২; তাফসিরে আজিজি ও মাআরিফুল কোরআন)। যে বস্তু ব্যবহারে নেশার উদ্রেক হয়, মানুষের মস্তিষ্ক বিকল হয়, স্বাভাবিক জ্ঞান ঠিকভাবে কাজ করে না; সেসব বস্তুই মাদক। মানবতার সুরক্ষার জন্য ইসলামে মাদক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, অপবিত্র ও হারাম। হজরত আয়শা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ২৪১)। ‘নবীজি (সা.) রবিআহ গোত্রের প্রতিনিধিদের চারটি কাজের নির্দেশ দিলেন: আল্লাহর ওপর ইমান আনা, সালাত কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা এবং রমজান মাসে রোজা পালন করা; গনিমতের এক–পঞ্চমাংশ দান করা। চারটি কাজ বারণ করলেন: শুকনো লাউয়ের খোল, সবুজ কলসি এবং আলকাতরার পলিশকৃত পাত্র (মদপাত্র হিসেবে) ব্যবহার।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৮৭)। মাদক, জুয়া ও ব্যভিচার সর্বধর্মেই নিষিদ্ধ, সব আইনেই গর্হিত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুদ্ধ-সিদ্ধ ও পূত-পবিত্র, সফল ও সার্থক জীবনের জন্য মাদক, জুয়া ও ব্যভিচারের কবল ও ছোবল থেকে নিজেদের ও পরিবারকে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। দেশের উন্নয়নে ও জাতির সুরক্ষার জন্য এসব অসামাজিক পাপাচার, অপরাধ ও অপকর্মের বিষয়ে পারিবারিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।