Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб আমার কৈফিয়তAMAR KAIFIYAT নজরুল ইসলাম,কন্ঠে:অঙ্কিতা ব্যানার্জিAnkita, Banerjee,আবৃত্তিVISVA BHARATI। в хорошем качестве

আমার কৈফিয়তAMAR KAIFIYAT নজরুল ইসলাম,কন্ঠে:অঙ্কিতা ব্যানার্জিAnkita, Banerjee,আবৃত্তিVISVA BHARATI। 5 лет назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



আমার কৈফিয়তAMAR KAIFIYAT নজরুল ইসলাম,কন্ঠে:অঙ্কিতা ব্যানার্জিAnkita, Banerjee,আবৃত্তিVISVA BHARATI।

আমার কৈফিয়ত কাজী নজরুল ইসলাম বাচিক শিল্পী অঙ্কিতা ব্যানার্জি বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’ কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুজে তাই সই সবি ! কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে ! যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে –বাণী কই, কবি ?’ দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী ! কবি বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে । বলে, কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাঁশ ঠেলে । পড়েনাক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা । কেহ বলে, বৌ-এ গিলিয়াছে গোটা । কেহ বলে, মাটি হ’ল হ’য়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে । কেহ বলে, তুই জেলে ছিলি ভালো, ফের যেন তুই যা’স জেলে । গুরু ক’ন, তুই করেছিস শুরু তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁচা । প্রতি শনিবারই চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, ‘তুমি হাঁড়িচাঁচা !’ আমি বলি, ‘প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি-‌’ অমনি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি। সব ছেড়ে দিয়ে করিলাম বিয়ে, হিন্দুরা ক’ন, আড়ি চাচা ! যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি, নাড়ি কাছা ! মৌ-লোভী যত মৌলবী আর 'মোল-লারা' ক'ন হাত নেড়ে, 'দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জাত মেরে !' ফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ও, যদিও শহীদ হইতে রাজী ও ! 'আম পারা'-পড়া হাম-বড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে !' হিন্দুরা ভাবে, 'পার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পা'ত-নেড়ে ! আনকোরা যত ননভায়োলেন্ট নন্-কো'র দলও নন্ খুশী । 'ভায়োলেন্সের ভায়োলিন' নাকি আমি, বিপ্লবী -মন তুষি । 'এটা অহিংস', বিপ্লবী ভাবে, 'নয় চরকরা গান কেন গা'বে ?' গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কনফুসি ! স্বরাজীরা ভাবে নারাজী, নারাজীরা ভাবে তাহাদের অঙ্কুশি ! নর ভাবে , আমি বড় নারী -ঘেঁষা ! নারী ভাবে, নারী বিদ্বেষী । 'বিলেত ফেরনী ?' প্রবাসী বন্ধু ক'ন, এই তব বিদ্যে ছি ! ভক্তরা বলে, 'নবযুগ-রবি !'- যুগের না হই, হুজুগের কবি বটি তো রে দাদা , আমি মনে ভাবি, আর ক'ষে কষি হৃদ- পেশী, দু'কানে চশমা আঁটিয়া ঘুমানু, দিব্যি হ'তেছে নিদ্ বেশী ! কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুন্ডু, আমিই কি বুঝি তার কিছু ? হাত উঁচু আর হ'ল না তো ভাই, তাই লিখি ক'রে ঘাড় নীচু ! বন্ধু ! তোমরা দিলেনাক' দান, রাজ-সরকার রেখেছেন মান ! যাহা কিছু লিখি অমূল্য ব'লে অ-মূল্যে নেন ! আর কিছু শুনেছ কি, হুঁ হুঁ, ফিরেছে রাজার প্রহরী সদাই কার পিছু ? বন্ধু ! তুমিতো দেখেছ আমায় আমার মনের মন্দিরে, হাড় কালি হল, শাসাতে নারিনু তবু পোড়া মন-বন্দীরে ! যতবার বাঁধি ছেঁড়ে সে শিকল, মেরে মেরে তারে করিল বিকল, তবু যদি কথা শুনে সে পাগল ! মানিল না রবি-গান্ধীরে ! হঠাৎ জাগিয়া বাঘ খুঁজে ফেরে নিশার আঁধারে বন চিরে ! আমি বলি, ওরে কথা শোন ক্ষ্যাপা, দিব্যি আছিস খোশহালে ! প্রায় 'হাফ' নেতা হয়ে উঠেছিস, এবার এ দাঁও ফসকালে 'ফুল'-নেতা আর হবিনে যে হায় ! বক্তৃতা দিয়া কাঁদিতে সভায় গুঁড়ায়ে লঙ্কা পকেটেতে বোকা এই বেলা ঢোকা ! সেই তালে নিস্ তোর ফুটো ঘরটাও ছেয়ে, নয় পস্তাবি শেষকালে । বোঝেনাক' সে যে চারণের বেশে ফেরে দেশে দেশে গান গেয়ে গান শুনে সবে ভাবে, ভাবনা কি ! দিন যাবে এবে পান খেয়ে । রবেনাক' ম্যালেরিয়া মহামারী, স্বরাজ আসিছে চ'ড়ে জুড়ি-গাড়ী, চাঁদা চাই, তারা ক্ষুধার অন্ন এনে দেয়, কাঁদে ছেলে-মেয়ে । মাতা কয়, ওরে চুপ্ হতভাগা, স্বরাজ আসে যে, দেখ্ চেয়ে ! ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত , একটু নুন, বেলা ব'য়ে যায়, খায়নিক' বাছা, কচি পেটে তার জ্বলে আগুন । কেঁদে ছুটে আসি পাগলের প্রায়, স্বরাজের নেশা কোথা ছুটে যায় ! কেঁদে বলি, ওগো ভগবান তুমি আজিও আছ কি ? কালি ও চুন কেন ওঠেনাক' তাহাদের গালে, যারা খায় এই শিশুর খুন ? আমরা তো জানি, স্বরাজ আনিতে পোড়া বার্তাকু এনেছি খাস । কত শত কোটী ক্ষুধিত শিশুর ক্ষুধা নিঙাড়িয়া কাড়িয়া গ্রাস এল কোটী টাকা, এল না স্বরাজ ! টাকা দিতে নারে ভুখারি সমাজ । মা'র বুক হতে ছেলে কেড়ে খায়, মোরা বলি, বাঘ, খাও হে ঘাস ! হেরিনু, জননী মাগিছে ভিক্ষা ঢেকে রেখে ঘরে ছেলের লাশ ! বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে, দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে, রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত-লেখা, বড় কথা বড় ভাব আসেনাক' মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে ! অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে ! পরোয়া করি না, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে, মাথার ওপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে । প্রার্থনা ক'রো-যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটী মুখের গ্রাস, যেন লেখা হয় আমার রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ । আশা করি ভিডিওটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই ভিডিওটি কে লাইক করবেন চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবেন এবং আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের পরিচিতদের অবশ্যই ভিডিওটি শেয়ার করবেন। ** ANTI-PIRACY WARNING ** This Content is Copyright to "নানা পথের সন্ধানে” Any unauthorized reproduction, redistribution, or re-upload is strictly prohibited from this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the following material presented! Thank You. Copyright @নানা পথের সন্ধানে. All rights are Reserved. #NANAPATHERSANDHANE #নানাপথেরসন্ধানে

Comments