Скачать с ютуб সোনাদিয়া মহেশখালি | Sonadia Island Tour | Bangladesh Travel Guide в хорошем качестве

সোনাদিয়া মহেশখালি | Sonadia Island Tour | Bangladesh Travel Guide

সোনাদিয়া, মহেশখালি উপজেলার ছোট্ট একটি দ্বীপ। সমুদ্রকে সবচেয়ে সুন্দরভাবে দেখার জন্য এই দ্বীপের চেয়ে ভাল আর কোন জায়গা হতে পারেনা, যেখানে সমুদ্রের কচ্ছপরা এখনো ডিম পড়তে আসে, হাজার হাজার লাল কাঁকড়া ঘুরে বেড়ায় বালিতে। ছোট দ্বীপের একটিমাত্র গ্রামে একটি সাইক্লোন সেন্টার ছাড়া আর কোন দালানও নেই। ছোটবেলায় আমরা গ্রামের দৃশ্য আঁকতে যেমন গ্রাম কল্পনা করতাম, এখানে প্রকৃতি ঠিক তেমনটাই সুন্দর, ছবির মতো। এখানে সমুদ্রপাড়ের বাতাসের শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ কানে আসেনা। আমরা ৪ জন গিয়েছিলাম সোনাদিয়া দ্বীপে। যেভাবে যাবেনঃ- কয়েকটি উপায়ে যাওয়া যায় সোনাদিয়া দ্বীপে। প্রথমে কক্সবাজার থেকে ইজিবাইকে চড়ে যেতে হবে ৬ নাম্বার জেটি ঘাট। ভাড়া ১০-২০ টাকা জনপ্রতি। আমাদের সাথে বড়বড় ব্যাগ আর অনেক জিনিসপত্র থাকায় আমরা একটি ইজিবাইক রিজার্ভ নিয়েছিলাম ১৫০/২০০ টাকা দিয়ে। উপায় ১- ৬ নং ঘাট থেকে রিজার্ভ ট্রলার বা স্পিডবোট নিয়ে সরাসরি সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়া যায়। আমরা যেহেতু শুধু ৪ জন ছিলাম, তাই পুরা ট্রলার বা স্পিডবোট ভাড়া করা ব্যয়বহুল ছিলো। তাই আমরা ২০ জনের একটা গ্রুপের সাথে তাদের ট্রলারে গিয়েছি জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে দিয়ে। এছাড়াও স্পিডবোট রিজার্ভ করে যেতে পারেন ২৫০০ টাকার আশেপাশে খরচ হবে। স্পিডবোটে সর্বোচ্চ ৮ জন যাওয়া যায়। উপায় ২- ৬ নং ঘাট থেকে লোকাল ট্রলারে চড়ে প্রথমে মহেশখালি, তারপর মহেশখালি থেকে সোনাদিয়া যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে খরচ জনপ্রতি ১০০ টাকার ভেতরে হয়ে যাবে। উপায় ৩- কক্সবাজার না এসেই চকরিয়া থেকে সোনাডাঙ্গা হয়েও সোনাদিয়া যাওয়া যায়। যেভাবে থাকবেনঃ- এখানে ক্যাম্পিং করে থাকতে হয়। যদিও শুনেছি ২/১ টা রিসোর্ট বানানোর কাজও চলছে সেখানে। ক্যাম্প করে থাকলে সেখানে গিয়ে স্থানীয় গাইড পাবেন, যাদের থেকে আপনি তাবু, হেমক, খাবারের ব্যবস্থা, টয়লেট, আপনার নিরাপত্তার জন্য রাতে পাহারাদার, এসব সুযোগ সুবিধা পাবেন। অথবা আপনারা নিজেরাও চাইলে তাবুসহ থাকা খাওয়ার সব সরঞ্জাম সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন। আমরাও সেটাই করেছিলাম। তবে সেখানে গিয়ে গাইড অবশ্যই নিবেন, শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য হলেও। বিঃ দ্রঃ আমরা খুবই ভাগ্যবান যে সোনাদিয়া দ্বীপ এখনো কক্সবাজার/সেইন্টমার্টিনের মতো প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট ও বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়নি। তবে আমরা ফেরার সময় একটি গ্রুপের ফেলে যাওয়া কিছু পানির, সফট ড্রিংক্সের, এবং কেরু এন্ড কোংয়ের বোতল দেখতে পেয়েছি। এছাড়াও অনেকেই গিয়ে যত্রতত্র বাজি ফুটাচ্ছে, যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলছে, এসবও দেখেছি। আমাদের সাথের একজনই ফেরার সময় তার ছিঁড়ে যাওয়া প্যান্ট ফেলে রেখে এসেছিলেন দরকার নেই বলে, পরে আমরা যারা শেষে ফিরেছিলাম তারা সেটি নিয়ে এসেছিলাম। এরকম চলতে থাকলে সামুদ্রিক কচ্ছপ, কাঁকড়া, এসবের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে থাকবেনা আর জায়গাটা। নিজেদের দেশের সৌন্দর্য্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই। তাই যেখানেই যান, সেই জায়গাটা অপরিষ্কার করে দিয়ে আসবেন না প্লিজ। -- #sonadia #travelguide #travelervideo