Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং||দেওতলা নৌকা বাইচ||বান্দুরা নৌকা বাইচ||নয়নশ্রী নৌকা বাইচ||নতুন নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং в хорошем качестве

নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং||দেওতলা নৌকা বাইচ||বান্দুরা নৌকা বাইচ||নয়নশ্রী নৌকা বাইচ||নতুন নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং 1 год назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং||দেওতলা নৌকা বাইচ||বান্দুরা নৌকা বাইচ||নয়নশ্রী নৌকা বাইচ||নতুন নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং

নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং||দেওতলা নৌকা বাইচ||বান্দুরা নৌকা বাইচ||নয়নশ্রী নৌকা বাইচ||নতুন নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং #নতুন নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং #দেওতলা নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং #বান্দুরা নৌকা বাইচ ২০২৩ ইং নৌকা বাইচ বাইচ শব্দটি ফারসি যার অর্থ বাজি বা খেলা। নৌকার দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা জয়লাভের উদ্দেশ্যে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দূরত্ব হয় ৬৫০ মিটার। প্রতিটি নৌকায় ৭, ২৫, ৫০ বা ১০০ জন মাঝি বা বৈঠাচালক থাকতে পারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে। বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা বাইচের দৃশ্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল। নৌ-শিল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বন্দর ও বাজার গড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নৌকারিগর ও নৌ-শিল্পী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নৌকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। ঢাকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ ইত্যাদি এলাকায় বাইচের জন্য ব্যবহূত হয় সাধারণত কোশা ধরনের নৌকা। এর গঠন সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট হয়। এর সামনের ও পিছনের অংশ একেবারে সোজা। এটি দেশিয় শাল, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি গাছের কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ছিপ জাতীয় নৌকা ব্যবহূত হয়। এর গঠনও সাধারণত সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট, তবে এর পিছনের দিকটা নদীর পানি থেকে প্রায় ৫ ফুট উঁচু ও সামনের দিকটা পানির সাথে মিলানো থাকে। এর সামনের ও পিছনের মাথায় চুমকির দ্বারা বিভিন্ন রকমের কারুকার্য করা হয়। এটিও শাল, গর্জন, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আজমিরিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে বাইচের জন্য সারেঙ্গি নৌকা ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট লম্বা হয় এবং এর প্রস্থ একটু বেশি (৫ থেকে ৬ ফুট) হয়ে থাকে। এগুলির সামনের ও পিছনের দিকটা হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা এবং পানি থেকে ২-৩ ফুট উঁচু থাকে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপে বাইচের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় সাম্পান। এটির গঠন জাহাজের মতো। ঢাকা ও ফরিদপুরে ব্যবহূত হয় গয়না নৌকা। এগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ ফুট এবং মাঝখানটা ৮-৯ ফুট প্রশস্ত। গয়না নৌকার সামনের দিক পানি থেকে ৩ ফুট উঁচু এবং পিছনের দিক ৪-৫ ফুট উঁচু। মুসলিম যুগের নবাব-বাদশাহগণ নৌকা বাইচের আয়োজন করতেন। অনেক নবাব বা বাদশাহদের জল বা নৌ বাহিনীর দ্বারা নৌকা বাইচ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চলে প্রশাসনিক অন্যতম উপায় ছিল নৌশক্তি। বাংলার বারো ভুঁইয়ারা নৌবলে বলিয়ান হয়ে মুগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মগ ও হার্মাদ জলদস্যুদের দমন করতেও নৌশক্তি ব্যবহূত হয়েছে। এদের রণবহরে দীর্ঘ আকৃতির ‘ছিপ’ নৌকা থাকত। বর্তমান যুগে সাধারণ নৌকাকেন্দ্রিক ঐ রকম নৌবিহার বা নৌবাহিনী না থাকলেও নৌশক্তির প্রতিযোগিতামূলক আনন্দোৎসব আজও নৌকা বাইচ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বিরাজমান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নৌকা বাইচ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ড্রাগন বোট রেস, সোয়ান বোট রেস, রোয়িং বোট রেস, কেনীয় ও কাইয়াক বোট রেস ইত্যাদি নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নৌকা বাইচ সাধারণত ভাদ্র-আশ্বিন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক সুরে নৌকার প্রতিযোগীরা গান গায় এবং এসব গানের কথায় থাকে প্রায়শ আল্লাহ বা ঈশ্বর ও প্রকৃতির কাছে সাহস সংগ্রহের আবেদন। নৌকার গতি অনুসারে অনেকে নৌকার সুন্দর সুন্দর নাম রাখেন, যেমন ঝড়ের পাখি, পঙ্খিরাজ, সাইমুন, তুফান মেল, ময়ূরপঙ্খি, অগ্রদূত, দীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি। নৌকায় ওঠার আগে সবাই পাক-পবিত্র হয়ে একই রঙের রুমাল মাথায় বেঁধে গায়ে গেঞ্জি পরে নেন। দাঁড়িয়ে বৈঠা চালানোর মাঝিরা থাকেন পিছনে, মধ্যে থাকেন নৌকার নির্দেশক। ঢোল-করতাল নিয়ে বাদক আর গায়েনরা নৌকার মধ্যে বসে তালে তালে মাঝিদের উৎসাহ যোগান। বাংলাদেশে নৌকা বাইচের সংগঠন ও উন্নয়নের জন্য ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশন। এই ফেডারেশন সনাতন নৌকা বাইচ ও রোয়িং-এর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ফেডারেশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোয়িং ফেডারেশনের সদস্য। দেশিয় নৌকা বাইচকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছরই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, এছাড়াও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। [শিপলব সিদ্ধা]

Comments