Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно সুলতান রাজিয়া কে ছিলেন? এই উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী শাসক/ Sultan Razia или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম মহিলা শাসক ছিলেন সুলতান রাজিয়া। এই মহীয়সী নারী ১২০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।সুলতান রাজিয়া ছিলেন সুলতান ইলতুতমিশের কন্যা ১২১১ থেকে ১২৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লী শাসন করেছিলেন সুলতান ইলতুতমিশ।ব্যক্তিগত জীবনে ইলতুৎমিশ বেশ সাহসী আর যোগ্য শাসক ছিলেন। শাসনক্ষমতার শেষদিকে এসে ইলতুৎমিশ তাঁর উত্তরাধিকারী নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যান। তাঁর পরে সিংহাসনে বসার মতো একমাত্র যোগ্য ছিলেন তাঁর বড় পুত্র। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় ইলতুৎমিশকে বিকল্প উপায় ভাবতে হচ্ছিলো। এক্ষেত্রে তাঁর সামনে তাঁর কন্যা সুলতানা রাজিয়া ছাড়া আর কেউ ছিলো না। কারন তাঁর অন্যান্য পুত্রের কেউই রাজ্য চালনার জন্য উপযুক্ত ছিলো না। সুলতান ইলতুৎমিশ তাই তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কন্যা রাজিয়াকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান। সুলতান ইলতুতমিশ কন্যা রাজিয়াকে একজন যথার্থ সুলতান হিসেবে গড়ে তুলেন। যখনই ইলতুতমিশের রাজধানী ছাড়তে হত, তিনি তখন তার কন্যা রাজিয়াকে শাসনভার বুঝিয়ে দিয়ে যেতেন। রাজিয়া ছিলেন সুলতানের জ্যেষ্ঠা কন্যা, বুদ্ধিমতী ও যুদ্ধবিদ্যায় পটু। সুলতান ইলতুতমিশ তাঁর মেয়ে রাজিয়াকে নিজ উত্তরসূরি ঘোষণা করে গেলেও তুর্কি সভাসদগণ একজন নারীকে দিল্লির সুলতানা হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিল না। অনেক তুর্কি অভিজাতদের মধ্যে ঈর্ষা ছড়িয়ে গিয়েছিল যে একজন মহিলা সুলতান পুরুষ যোদ্ধা এবং সম্ভ্রান্ত লোকদের কাছে অপমান। তাই তারা রাজিয়াকে বাদ দিয়ে রাজিয়ার সৎ ভাই রুকনুদ্দিন ফিরোজকে সিংহাসনে বসায়। কিন্তু শাসক হিসেবে ফিরোজ ছিল অত্যন্ত অযোগ্য, শাসনকার্য পরিচালনা করার বদলে তিনি বরং বিলাসিতায় দিন কাটানো শুধু করেন। ফলশ্রুতিতে যে সভাসদরা আগে ফিরোজকে সিংহাসনে বসিয়ে ছিল তারাই এবার ফিরোজের অদক্ষতায় বিরক্ত হয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং হত্যাকরে । ফিরোজকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আর কোনো উপায় না দেখে এবার সভাসদদেরা অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজিয়াকে দিল্লির শাসনকর্তা ঘোষণা করে। ১২৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজিয়া সিংহাসনে বসেন। রাজিয়া একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ শাসক ছিলেন। তার সময়ে দাসবংশের শাসনকাল খুব সুদৃঢ় হয় এবং রাজ্যের সর্বত্র শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করে। তার সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি সাধিত হয়। তিনি যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেন। রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষ লাগানো হয় এবং পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য কুয়ো খনন করা হয়। তিনি সাহিত্যিক, শিল্পী ও কারিগরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তার শাসনামলে সঙ্গীত ও চিত্রকলারও প্রভূত বিকাশ সাধিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বিদ্যোৎসাহী ছিলেন এবং নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি কবি ছিলেন এবং কুরআন পাঠ করতে পারতে। সিংহাসনে আরোহনের পর রাজিয়া তাকে ‘সুলতানা’ বলে সম্বোধন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। সুলতানা মানে “সুলতান (শাসক) এর স্ত্রী বা উপপত্নী”। তিনি গর্বের সাথে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে “সুলতান” হিসাবে সম্বোধন করতে হবে, কারণ তিনি নিজেই শাসক। ১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর রাজিয়া ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসতো না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন। আল্লাহ হাফেজ ২৬.০৭.২০২২ #raziasultana #রাজিয়া #প্রথম_নারী_শাসক #ইলতুতমিশ #মুসলিম_নারী_শাসক #First_woman_ruler ##Muslim_women_ruler