Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб হেমনগর জমিদারবাড়ী | পরীর দালান | Hemnagar Zamindar Bari Gopalpur Tangail । টাংগাইলের ঐতিহাসিক স্থান। в хорошем качестве

হেমনগর জমিদারবাড়ী | পরীর দালান | Hemnagar Zamindar Bari Gopalpur Tangail । টাংগাইলের ঐতিহাসিক স্থান। 1 год назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



হেমনগর জমিদারবাড়ী | পরীর দালান | Hemnagar Zamindar Bari Gopalpur Tangail । টাংগাইলের ঐতিহাসিক স্থান।

হেমনগর জমিদারবাড়ী | Hemnagar Zamindar Bari Gopalpur Tangail | হেমনগর রাজবাড়ী এই দর্শনীয় স্থাপনাটি ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের শিমলাপাড়া মৌজায় (বর্তমানে হেমনগর) অবস্থিত। জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী এই জমিদারবাড়িটি নির্মাণ করেন (১৮৯০)। তিনি তার এলাকার মানুষকে কঠোর হাতে শাসন করতেন। জমিদারবাড়ির অতিক্রম করতে হলে তাঁকে খালি পায়ে ক্রমাগত মাথা ঝুঁকিয়ে আনুগত্য প্রকাশের পাশাপাশি উল্টো হয়ে হাটতে হত। এসকল নিয়ম মানতে বাধ্য করা হত তাদের। হেমচন্দ্র চৌধুরী ১৮৮০ সালে (১২৮৬ বঙ্গাব্দ) মধুপুর উপজেলার আমবাড়িয়া রাজবাড়ি ত্যাগ করে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সুবর্ণখালি গ্রামে নতুন রাজবাড়ি নির্মাণ করেন। তিনি সেখান থেকেই জমিদারি পরিচালনা শুরু করেন। সুবর্ণখালি ছিল যমুনা তীরের প্রসিদ্ধ নদীবন্দর। তখন কলকাতার সাথে সহজ যোগাযোগের কারণে সুবর্ণখালিতে আসাম ও কলকাতার স্টীমার আসতো। হেমচন্দ্র চৌধুরী সহ কয়েকজন হিন্দু জমিদারের উদ্দ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ১৯০৫ সালে ময়মনসিংহ হতে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত রেলওয়ে লাইন সম্প্রসারণ করা হয়। যা রেল ও স্টীমার যোগে ঢাকার সাথে কলকাতার যোগাযোগকে সহজ করে তোলে। হেমবাবু সুবর্ণখালি হতে সরিষাবাড়ি উপজেলার জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে হেরিংবন্ড করে টমটম বা পালকিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। জানা যায়, এটিই গোপালপুর উপজেলার প্রথম পাঁকা সড়ক। ঊনবিংশ শতাব্দির শেষ দশকে যমুনার করাল গ্রাসে বিলীন হয় সুবর্ণখালি নদীবন্দর ও হেমচন্দ্রের রাজবাড়ি। সুবর্ণখালি ঐতিহ্য হারিয়ে আজ সোনামুই/সোনামুখী নাম ধারণ করে টিকে আছে। হেমচন্দ্র চৌধুরী ১৮৯০ সালে (১২৯৬ বঙ্গাব্দ) শিমলাপাড়া মৌজায় নতুন একটি দ্বিতল রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করেন। এটি সুবর্ণখালি থেকে তিন কিলোমিটার পুর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। উঁচু ও প্রসস্থ দেওয়ালে ঘেরা বাড়ির ভেতরে সুপেয় পানির জন্য একাধিক কূপ খনন করা হয়েছিল। সেখানে ছিল চিড়িয়াখানা, পূজাম-প, হাতিশালা ও ফুলের বাগান। পরীর দালানের সামনেই ছিল দ্বিতল নাটঘর। বাড়িটির ভেতরে ও সামনে রয়েছে পাকা সান (ইট ও সুরকির) বাঁধানো ঘাটসহ বিশাল পুকুর (দিঘি)। পরীর দালানের আশেপাশে স্বজনদের জন্য সান বাঁধা ঘাট সহ দিঘি ও পাকা বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনের দেয়াল, পিলার, ফটকে রঙ্গিন কাঁচ ব্যবহার করে ফুল, তারা, গাছ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে। অত্যন্ত কারুকার্য মন্ডিত, দামি কড়ি ও অপুর্ব পাথরে মোড়ানো অগ্রভাগে দুইটি পরীর ভাস্কর্যসমৃদ্ধ বাড়িটি লতাপাতার অপরুপ নকশায় তৈরি। দিল্লী ও কলকাতার কারিগর ও রাজমিস্ত্রি দিয়ে ইটসুরকির তৈরি বাড়িটি দেখে মনে হয় যেন শিল্পকর্ম। ৬০ একর জায়গার উপর শত কক্ষবিশিষ্ট এ বাড়িটিকে ডাকা হয় পরীর দালান নামে। এই জমিদারবাড়ির মূল ভবনটি বর্তমানে হেমনগর ডিগ্রী কলেজ করা হয়েছে। রাজবাড়ির অদুরে দক্ষিণদিকে গড়ে ওঠে বিশাল বাজার। এলাকাটি হেমচন্দ্র চৌধুরীর নামানুসারে হেমনগর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বর্তমানে (১৯৮৯ সালে) বাড়িটিতে একটি মহাবিদ্যালয় (ডিগ্রী কলেজ) স্থাপন করা হয়েছে। #হেমনগর_জমিদার_বাড়ি #হেমনগর_রাজবাড়ি #গোপালপুর #Hemnogor_Jomidar_Bari #Hemnogor_Rajbari #Gopalpur

Comments