Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб গবাদি পশুর ক্ষুরারোগ বা এফএমডি। в хорошем качестве

গবাদি পশুর ক্ষুরারোগ বা এফএমডি। 2 месяца назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



গবাদি পশুর ক্ষুরারোগ বা এফএমডি।

গবাদি পশুর ক্ষুরারোগঃ ক্ষুরা রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের নাম ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ। ইংরেজিতে ক্ষুরা রোগকে এফ,এম,ডি বলে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এ রোগ দেখা যায়। তবে আমাদের দেশের গরুতে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। দুই ক্ষুর ওয়ালা সকল প্রাণী এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বছরের যেকোনো সময় এ রোগ হতে পারে। তবে বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। এ সময় অধিকাংশ গোয়াল ঘড়ে কাঁদা হয়, তাছাড়া বাহিরেও সারাদিন কাঁদা পানিতে পশু চলাচল করে। এই রোগ ছোঁয়াচে। বাড়ীতে যদি কোন ক্রমে একটি গরু আক্রান্ত হয়। তখন অন্যান্য গরুও আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। এ রোগে ৬ মাস বয়সের নিচে আক্রান্ত বাছুরের ৯৫ শতাংশই মারা যায়। তবে এ রোগ দমন করা সম্ভব। একটু সচেতন থাকলে এবং সময়মতো প্রতিশেধক দিলে গবাদি পশুকে সহজেই এ রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। ক্ষুরা রোগের লক্ষণ: প্রথমে জ্বর হয়। তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, মুখের ভিতর, ওলান এবং পায়ের মাঝখানে ফোস্কা উঠে, পরে ফোস্কা ফেটে লাল ঘায়ের সৃষ্টি হয়। রোগের পরিমাণ বেশি হলে ক্ষুরা বা জিহ্বা খসে পড়তে পারে। মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে। ঠোঁট নাড়াচাড়ার ফলে সাদা ফেনা বের হয় এবং চপচপ শব্দ হয়। পশু এমনভাবে পা ছুঁড়তে থাকে যেন মনে হয় পায়ে কিছু লেগে আছে। পশু খোঁড়াতে থাকে। পা ফুলে ব্যথা হয়। শ্বাসকষ্ট, রক্ত শূন্যতা দেখা যায়। ওলান ফুলে উঠে এবং দুধ কমে যায়। গর্ভবতী গাভীর গর্ভপাত ঘটে। ছোট বাছুরের হৃৎপিণ্ড এ রোগে আক্রান্ত হলে কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ মারা যায়। রোগের বিস্তার: ক্ষুরা রোগ কোনো এলাকায় দেখা দিলে একশত ভাগ পশুই তাতে আক্রান্ত হয়। এ রোগের জীবাণু রোগাক্রান্ত প্রাণীর ফোসকা ফেটে অন্য প্রাণীর দেহে বিস্তার লাভ করে। রোগাক্রান্ত পশুর লালা, শেষ্মা, প্রস্রাব, সিমেন, মল ও দুধের মাধ্যমে জীবানু দেহ হতে বের হয়ে পশুর খাদ্য, পানি, আবাসস্থলের দেয়াল, বাতাস ইত্যাদি কলুষিত করে। বাতাসের সাহায্যে এ ভাইরাস ৬০/৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত পশুকে হাটবাজারে বিক্রির জন্য নেয়া হলে ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত পশুর পরিচর্যাকারীর চলাচল এবং তার জামাকাপড়, জুতা ইত্যাদির সাহায্যেও ভাইরাস বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাস দ্বারা খাদ্যদ্রব্য দূষিত হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্য পশুতে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত পশুর চামড়া এবং মাংসের মাধ্যমেও এ ভাইরাস একস্থান থেকে অন্যস্থানে এমনকি একদেশ থেকে অন্যদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুরা একটি ট্রান্সবাউন্ডারী ডিজিজ এবং সীমান্তবর্তি জেলায় অনেক সময় চোরাইপথে রোগাক্রান্ত পশু দেশে ঢুকে পড়লে এইরোগের বিস্তার লাভ করে। সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি : পৃথিবীর অনেক দেশ ক্ষুরা রোগ মুক্ত। এসব দেশের মধ্যে ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড উল্লেখযোগ্য। এসব দেশে ক্ষুরা রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত পশুকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। ক্ষুরা রোগ হওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা করে পরিষ্কার শুকনা জায়গায় রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কাদা বা পানিতে রাখা যাবে না। আক্রান্ত পশুকে অন্যত্র নেয়া বা বাইরের কোনো পশুকেও আক্রান্ত এলাকায় আনা ঠিক হবে না। মশা-মাছিরোধী মশারী ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত প্রাণীর পরিচর্যাকারীর হাত-পা এবং ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সহ অন্যান্য জিনিস অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত এলাকার এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সকল সুস্থ পশুকে অবিলম্বে প্রতিশেধক দিতে হবে। রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা করাতে হবে। মৃত পশুকে ৪/৫ ফুট মাটির নিচে পুঁতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। সঙ্গনিরোধ বা কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। কারণ এ ব্যবস্থা ছাড়াই সীমান্তবর্তী দেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য গরু বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় এদেশে এ রোগ প্রতিরোধ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। রোগাক্রান্ত পশু ক্রয় করা যাবে না। সুস্থ পশু কিনে আনলে কমপক্ষে ১৫দিন আলাদাভাবে রেখে প্রতিশেধক প্রয়োগ করে খামারে প্রবেশ করাতে হবে। পরিচর্যার সময় প্রথমে সুস্থ পশুকে তারপর অসুস্থ পশুকে যত্ন নিতে হবে। আলাদা লোক দিয়ে পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে। জীবানুনাশক দিয়ে গোয়াল ঘর স্প্রে করতে হবে। খাদ্যঃ ভূষি ও ধানের গুড়া পানির সহিত মিশ্রিত খাদ্য। গুড়ের সাথে নিম পাতার গুড়া মিশিয়ে পেস্ট করা খাদ্য। খাবার স্যালাইন। নরম খাদ্য, কচি ঘাস ও তরল খাবার যেমন, ভাতের ফেন বা জাউ ভাত খেতে দিতে হবে। নিষেধঃ মুখে ঘা থাকা অবস্থায় খড়, ঘাসের শক্ত ডাটা। ৬ মাসের কম বয়সের বাচ্চাকে অসুস্থ্য¯ গাভীর দুধ। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: এপিস মেল, ইচিনেশিয়া, মার্কসল, রাসটক্স 30 শক্তি একত্রে মিশিয়ে কয়েক ঘন্টা পর পর সেব্য। রাস টক্স ও সালফার ২০০ শক্তি পর্যায়ক্রমে দেয়া যায়। মুখে ঘা, লালা ঝরে, ঘায়ে পূঁজ দেখা দিলে মার্ক সল ২০০ শক্তি। ঘায়ে যদি পোঁকা হয় স্ট্যাফেসাইগ্রিয়া ২০০ শক্তি ব্যবহারে পোকা পড়ে যায়। ব্যথা বা পা আড়ষ্ট হয়ে গেলে রাস-টক্স। গরুকে সম্পূর্ণ আরোগ্য করতে মাঝে মধ্যে ভেরিওলিনাম দিতে হয়। চিকিৎসার শেষে বা মাঝখানে অনেক সময় সালফার কিংবা থুজা দেয়া লাগতে পারে। লক্ষণসাদৃশ্যে- আর্সেনিক এল্বাম, নাইট্রিক এসিড দেয়া যেতে পারে। প্রতিশেধক হিসাবে রাস টক্স ২০০ শক্তি। ডোজঃ গরু ৮ ফোঁটা, বাছুর ৫ ফোঁটা, মহিষ ১০/১৫ ফোঁটা মাত্রায় ব্যবহার্য্য। ক্যালেন্ডুলা মাদার দ্বারা তুলা ভিজিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিতে হবে- এতে গরুর ঘা দ্রুত শুকিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডুলা লোশনও (১:৮= ক্যালেন্ডুলা মাদার: পানি) দৈনিক ৪/৫ বার ক্ষতে স্প্রে করা যেতে পারে। ঔষধ লাগানোর পূর্বে পায়ের ঘা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দ্বারা পরিস্কার করে নিতে হবে। মুখে ফোসকা পড়ে ঘা হলে সোহাগার খৈ গুড়ো করে মধু অথবা ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার লাগাতে হবে। ক্ষতে 1: 4 অনুপাতে তারপিন ও নারিকেল তেলের মিশ্রন স্প্রে করা যেতে পারে দিনে 2/3 বার। ফানেল তেল দিলে ক্ষত হতে পোকা বের হয়ে যায় এবং মাছি পড়ে না।

Comments