Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб কোন রাজনৈতিক দলের শাসনে জঘন্য ধর্ষণ হয়নি? কোন রাজ্যগুলো ধর্ষিতাদের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে? в хорошем качестве

কোন রাজনৈতিক দলের শাসনে জঘন্য ধর্ষণ হয়নি? কোন রাজ্যগুলো ধর্ষিতাদের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে? 6 дней назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



কোন রাজনৈতিক দলের শাসনে জঘন্য ধর্ষণ হয়নি? কোন রাজ্যগুলো ধর্ষিতাদের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে?

হ্যামলেট, অ্যাক্ট ওয়ান, সিন ফোর, মার্সিলাস বলছে, ‘সামথিং ইজ রটন ইন দ্য স্টেট অফ ডেনমার্ক’। সেই পচা গন্ধটা আসছে কসবা থেকে, আসছে কালিগঞ্জ থেকে। উন্নাও থেকে, কাঠুয়া থেকে, সারা দেশ থেকে। গন্ধটা প্রবল হচ্ছে মায়ের কান্নায়, একটি মেয়ের দম বন্ধ হয়ে অসহায়ভাবে ধর্ষকদের কাছ থেকেই ইনহেলার চাওয়ার, বাঁচতে চাওয়ার আকাংখ্যায়। সেই একই গন্ধ তো পেয়েই ছিলাম আর জি করেও। সেখানেও এক সরকারি হাসপাতালে এক সহায় তরুণী ডাক্তার এক হাফ পুলিশের সঙ্গে লড়ে উঠতে পারেনি, তারও দম বন্ধ হয়েছিল। মিলে যাচ্ছে সেও ইনহেলার ব্যবহার করতো। কিন্তু মাত্র ক বছর আগেও তো সেই একই নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই হ্যামলেট, অ্যাক্ট ওয়ান, সিন ফোর, মার্সিলাস বলছে, ‘সামথিং ইজ রটন ইন দ্য স্টেট অফ ডেনমার্ক’। সেই কথা মনে পড়ে না, কিছু একটা পুড়ছিল, গন্ধ পাননি? পোড়া মাংসের গন্ধ? ক্রমশ পেট্রল ঢেলে শ্মশানে নয়, ধানক্ষেতে তাড়াতাড়ি একটা দেহকে চুপিসাড়ে পুড়িয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল, রাষ্ট্রিয় ডালকুত্তার দল। সাংবাদিক ক্যামেরা দিকে মুখ নিয়ে গিয়ে বললেন, ঐখানে ধর্ষিতা হাথরস নির্যাতিতার দেহ পুড়ছে। আগেই বলেছি এ এক নতুন ন্যাকামি, ধর্ষণ হবে, করবে কতগুলো জানোয়ার, আর তার নাম বলা যাবে না, তাতে নাকি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, মেয়েটি তার পরিবারের সম্ভ্রম হানি হবে, কুকুরে কামড়ানো মানুষের নাম জানা যাবে না, জানলেও বলা যাবে না, এটাই নির্দেশ, তাই হোক,আমরা বাল্মিকী সম্প্রদায়ের এই মেয়েটিকে আমরা সীতা বাল্মিকী বলেই ডেকেছিলাম, সেই রাম রাজ্যে, নামটাও ছিল মানানসই। তো সেদিন কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছিলেন, কেমন করে কোথায়, কবে, কতজন মিলে ধর্ষণ করেছিল, সীতা বাল্মিকী কে, কেমন করে টানা ১৫ দিন লড়াই চালানোর পর সীতা বাল্মিকী মারা গেছে, কেমন করে তার বাবা মার হাতে মৃতদেহ না দিয়ে মাঝরাতে সীতার দেহ জালিয়ে দিচ্ছে, যোগী জীর পুলিশ। এসব আপনারা জানেন, প্রতিটা রেপ একবার হয় ঘটনাস্থলে, তারপর তা হতেই থাকে, কাগজের পাতায় পাতায়, সম্পূর্ণ বিবরণ, আঁখো দেখা বিবরণ, আবার নিরাভরণ হয় ধর্ষিতার শরীর, জ্যোতি, নিরাভরণ হয়। প্রিয়াঙ্কাও, পরণের পোশাক খুলে নেওয়া হচ্ছে মণীষার, আরো ডিটেইল চাই, আরও নিঁখুত বর্ণনা। এবং সার বক্তব্য একটাই, ঐখানে সীতার ধর্ষণ হয়েছিল, ঐখানে নির্ভয়ার লাশ পুড়ছে, ঐখান থেকেই অভয়ার আধপোড়া মাংসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, দেহ পুড়ছে সীতার, দেহ পুড়ছে নির্ভয়া, অভয়া, কত শত নারীর, আগুন জ্বলছে। রাবণের চিতা। আমি অস্বীকার করছি মেনে নিতে, আমি প্রতিবাদ করছি এই অর্ধসত্যের, আমি জানি অর্ধেক জানানো হচ্ছে, লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে বাকি সমস্ত সত্যি, ওখানে আরও অনেক কিছু পুড়ছে। হ্যাঁ মাননীয় ধর্মাবতার, ওখানে আরও অনেক কিছু পুড়ছে, ওখানে সংবিধান পুড়ছে, শুনতে পাচ্ছেন না? উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়ার আর্তচিৎকার? ওখানে সংবিধানের মৌলিক অধিকার দাউ দাউ করে পুড়ছে, আর্টিকল ১৪, আর্টিকল ১৫ জ্বলছে, জ্বলছে মানবাধিকার, হিউম্যান রাইটস চার্টার, পুড়ে ছাই হচ্ছে গণতন্ত্র, পোড়া গন্ধ পাচ্ছি আদালতের, পুলিশের, প্রশাসনের, নাকে আসছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দেহ থেকে বেরোনো পোড়া গন্ধ, বুকে হাত দিয়ে দেখেছি আমাদের বিবেক সেখানে নেই, ঐ আগুনেই সীতার ধর্ষিতা দেহের সঙ্গেই তাও পুড়ছে, গোটা দেশ পুড়ছে। হায়দ্রাবাদে প্রিয়াঙ্কার ধর্ষণের পর ধর্ষণে অভিযুক্তদের ঐ জায়গায় যেখানে মেয়েটি ধর্ষিতা হয়েছিল, সেখানেই গুলি করে মারা হয়। সারা দেশ জুড়ে উল্লাস দেখেছিলাম আমরা, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নাকি একেই বলে, শুনেছিলাম আমরা, সেই ২৮ এ নভেম্বার ২০১৯ এ। তারপর থেকে প্রতিদিন, হ্যাঁ প্রতিদিন ৮৭ জন ধর্ষিত হয়েছেন, মানে ৮৭ জন ধর্ষিতা হবার পরে পুলিশ কে জানিয়েছেন, এর থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মহিলা, ভয়ে, লজ্জায় পুলিশের কাছে যায় নি, বা গেলেও পুলিশ তাদের অভিযোগ দায়ের করেনি। মানে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, এনকাউন্টার করে ধর্ষণ আটকানো যায় না, এটা প্রমাণিত। সমস্যা হল বিজেপির অধুনা ভক্ত কঙ্গনা রানাওত থেকে তৃনমূল যুবরাজের পছন্দ এনকাউন্টার, তুরন্ত ফাঁসি, হাতে গরম শাস্তি। মানস ভুঁইয়া বলবেন ছোট্ট ব্যাপার, জ্যোতি বসু বলবেন এরকম তো কত ঘটে, দেবেগৌড়া বলবেন ভুল করেছে আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করুক, উনি সাত সেয়ানার এক সেয়ানা জানেন আইন কে হাতে নিতে হলে পয়সা লাগে, ওনাদের সেই পয়সা আছে। বেশিরভাগ মানুষ এক মধ্যযুগীয় শাসন ব্যবস্থাতেই আস্থা রাখেন,রাখছেন, কাজেই এরপর একটা এনকাউন্টার হয়ে যেতেই পারে, দেশের মানুষদের বলা যেতেই পারে, বোঝানো যেতেই পারে যে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সরকারের জিরো টলারেন্স, অভিযোগ আছে ঢিচক্যাঁও, গুলি করে মেরে ফ্যালো। চটজলদি ফাঁসিতে ঝোলাও। দু দশটা উমর খালিদকেও তখন স্রেফ ধর্ষণ করেছে বলে ঢিচক্যাঁও। কিন্তু তাতে যে সমস্যা মেটে না তা তো আমরা দেখছি। আরও দু চার জন ‘হতে পারে’ অপরাধী মারা যাবে, ধর্ষণ কমবে কী?

Comments