Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб ইতিহাসের পথে মোরশেদ | EP7 | ১২০০ বছর আগের পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় в хорошем качестве

ইতিহাসের পথে মোরশেদ | EP7 | ১২০০ বছর আগের পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় 1 год назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



ইতিহাসের পথে মোরশেদ | EP7 | ১২০০ বছর আগের পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়

পণ্ডিত বিহার ছিল ভারত উপমহাদেশের একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় যা বর্তমানে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। খিস্ট্রীয় অষ্টম শতাব্দীতে পূর্ববঙ্গের তথা বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিলো বলে ঐতিহাসিককেরা মতামত দেন। এটি মূলত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা পূর্ববঙ্গে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম বিষয়ে শিক্ষা ও মতবাদ প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হতো ওই সময়ে। পাল সাম্রজ্যের বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারক অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান পণ্ডিতবিহারে কিছুদিন অবস্থান ও অধ্যয়ন করেছিলেন বলে জানা যায়। পণ্ডিতবিহারে অধ্যাপকেরা তাদের অধ্যাপনা, অধ্যয়ন ও যোগ সাধনার পাশাপাশি অবসর-অবকাশে যে সকল গান-দোঁহা রচনা করেছিলেন তাই পরবর্তীকালে চর্যাপদ নামে বাংলা ভাষা ও কাব্যের আদি নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।। পণ্ডিত বিহারের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন মত প্রচলিত থাকলেও গবেষণায় উঠে এসেছে আনোয়ারা উপজেলার ঝিওরি, হাজীগাঁও, বটতলী, কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ও জুলধা এলাকা জুড়ে সপ্তম-অষ্টম শতকে পন্ডিত বিহার নামে একটি জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র গড়ে ওঠে। আনোয়ারার হাজিগাঁও গ্রাম থেকে ৬৬টি পিতলের বুদ্ধমূর্তি পাওয়া গেলে ওই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে প্রমাণ নিশ্চিত করে। পণ্ডিতবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন পটিয়ার চক্রশালার ব্রাহ্মণ সন্তান তিলপাদ। তাঁর হিন্দু জীবনের যোগসাধন সঙ্গিনী তিল পিষে জীবন ধারণ করতেন বলে তিনি তিলপাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করার পর প্রজ্ঞাভদ্র নাম গ্রহণ করেন এবং পণ্ডিতবিহারের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। মগধের প্রধান আচার্য নরতোপা পণ্ডিতবিহারে প্রজ্ঞাভদ্রের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে লুই পা, শবর পা, লাড় পা, অবধূত পা, অমোঘনাথ, ধর্মশ্রী, মৈন, বুদ্ধজ্ঞান পা, অনঙ্গবজ্র প্রমুখ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য এবং পণ্ডিতগণ পরিদর্শক হিসেবে অথবা অধ্যাপক হিসেবে পণ্ডিত বিহারে এসেছিলেন। গবেষকদের অনুমান, বিভিন্ন বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ এই বিহারে সমবেত হয়েছিলেন বলে পণ্ডিত বিহার নামকরণ হয়েছিলো। পণ্ডিত বিহারের বিলুপ্ত হওয়ার কারণ বা সময়কাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৩৪০ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁওয়ের সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের সেনাপতি কদলখাঁ গাজী চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানিদের বিতাড়িত করেন এবং চট্টগ্রামকে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসনের আওতায় নিয়ে আসেন। ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ছিল বাংলার স্বাধীন সুলতান ও আফগান শাসনভুক্ত। ধারণা করা হয় ওই সময়েই পণ্ডিত বিহারের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। সর্বশেষ ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি মোগল যোদ্ধারা চাটিগাঁ দুর্গ দখল করে মগদের বিতাড়িত করেন। এসব যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে চট্টগ্রামের প্রাচীন বন্দর শহর দেয়াঙ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কালের বিবর্তনে পণ্ডিত বিহারের বিলুপ্তি ঘটে। ঐতিহাসিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জিনবোধি ভিক্ষুর নেতৃত্বে শিক্ষা অন্বেষক। ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড় অঞ্চলে পণ্ডিত বিহারের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নীতিগত সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে গড়ে উঠবে এ বিশ্ব বিদ্যালয়। এদিকে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২ আগস্ট আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের পাশাপাশি জাদুঘর স্থাপনের নিমিত্তে জায়গা পরিদর্শন করে গেলেন দেশি-বিদেশি পরিদর্শক দল। তাঁরা কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দেয়াঙ পাহাড়ের বিশ্বমুড়া নামক স্থান ঘুরে দেখেন। বিশ্বমুড়া নামক স্থানটি আরাকান রাজা রাজ বিক্রমের বাড়ী ছিল। পরিদর্শন দলে ছিলেন পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যেক্তা ড. জিনবোধি ভিক্ষু, বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন নাগরিক উদ্যেগের সদস্য সচিব মোস্তফা কামাল যাত্রা, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের উপপরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান, জাপানি নৃতাত্তিক হেনরী হিরোসে ও হিরোকো হিরোসে। ওইসময় তাঁদের সাথে ছিলেন কর্ণফুলীর ইউএনও মো. মামুনুর রশীদ। সবার আশা শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সিদ্ধান্ত পেয়ে গড়ে উঠবে পন্ডিত বিহার বিশ্ব বিদ্যালয়। আর এটি বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম পাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এতে করে ফিরে আসবে হারিয়ে যাওয়া দেয়াঙ পরগণার ইতিহাস আর বদলে যাবে এ জনপদ। #নালান্দাবিশ্ববিদ্যালয় #তক্ষশীলাবিশ্ববিদ্যালয় #পন্ডিতবিহারবিশ্ববিদ্যালয় #দেয়াঙ #দেয়াং #দেয়াঙপাহাড় #আনোয়ারামিরর #মিররআনোয়ারা #আনোয়ারা #ইতিহাসেরপথেমোরশেদ #চট্টগ্রামেরইতিহাস #দেয়াংপরগণা #দেয়াঙপরগণা #আনোয়ারারপুরাকীর্তি #দেয়াঙপরগণারইতিহাস #আরাকান #আরাকানরাজ্য

Comments