Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео




Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



পেঁয়াজ চাষ করার পদ্ধতি || how to plant onions || শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ

পেঁয়াজ চাষ করার পদ্ধতি || how to plant onions || শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ চারা তৈরিঃ ৩x১ মিটার আকারের প্রতি বীজতলার জন্য ২৫-৩০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। পেঁয়াজ রবি ও খরিপ মৌসুমে চাষ করা যায়। খরিপ মৌসুমে চাষের জন্য জুলাই-আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) ও রবি মৌসুমে চাষের জন্য ফেব্রুয়ারী-মার্চ (মাঘ-ফাল্গুন) মাসে বীজ তলায় বীজ বপন করতে হয়। জমির আগাছা পরিষ্কার করে ভালভাবে চাষও মই দিয়ে ৩x১ মিটার আকারের বীজতলা করে এক সপ্তাহ রাখা হয়। বীজ বপনের পূর্বে আগের দিন সন্ধ্যায় বীজ ভিজিয়ে রেখে পরের দিন তুলে ১ ঘন্টা রৌদ্রে শুকিয়ে তারপর বীজতলায় বপন করতে হবে। বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। বীজ বপনের পরদিন বেডে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলা বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে এবং রাত্রে খোলা রাখতে হবে। প্রয়োজনে ঝরনা দিয়ে পানি দিতে হবে। চারা রোপনঃ ৫ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করা হয়। ১৫x১০ সে.মি. দূরত্বে চারা রোপন করা হয়। বর্ষার সময় ১ মিটার চওড়া ও ১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করে চারা রোপণ করা হয়। দুই বেডের মাঝে ৩০ সে.মি. চওড়া পানি নিকাশের নালা রাখা হয়। ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা লাগানোর উপযোগী হয়। সার ব্যবস্থাপনাঃ পেঁয়াজের জমিতে প্রতি হেক্টরে গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-২৭০ কেজি, টিএসপি ১৯০-২০ কেজি এবং ১৫০-১৭০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়। জমি তৈরির সময় ১৬০-১৭০ কেজি ইউরিয়া ও বাকী সমুদয় সার মাটিতে মেশাতে হয়। চারা রোপনের ২০ দিন পর বাকী ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা হয়। সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনাঃ জমিতে রসের অভাব থাকলে সেচ দিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে যাতে বৃষ্টির পানি দাঁড়াতে না পারে সেজন্য নিকাশ নালা রাখতে হবে। জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। সেচের পর জমি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। পেঁয়াজের কন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের কুঁড়ি দেখামাত্র ভেঙ্গে দিতে হবে। রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনাঃ পোকার নামঃ থ্রিপস এ পোকা ছোট কিন্তু পাতার রস চুষে খায় বিধায় গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। সে কারনে ক্ষেতের মধ্যে পাতা বিবর্ণ দেখালে কাছে গিয়ে মনোযোগ সহকারে দেখা উচিৎ, তা না হলে ফলন অনেক কমে যাবে। পোকা আকৃতিতে খুব ছোট। স্ত্রী পোকা সরু, হলুদাভ। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গাঢ় বাদামী। বাচ্চা সাদা বা হলুদ। এদের পিঠের উপর লম্বা দাগ থাকে। ক্ষতির নমুনাঃ এরা রস চুষে খায় বলে আক্রান্ত পাতা রূপালী রং ধারণ করে। আক্রান্ত পাতায় বাদামী দাগ বা ফোঁটা দেখা যায়। অধিক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে যায় ও ঢলে পড়ে। রাইজোম আকারে ছোট ও বিকৃত হয়। জীবন চক্রঃ স্ত্রী পোকা পাতার কোষের মধ্যে ৪৫-৫০ টি ডিম পাড়ে। ৫-১০ দিনে ডিম হতে নিম্ফ (বাচ্চা) বের হয়। নিম্ফ ১৫-৩০ দিনে দুটি ধাপ অতিক্রম করে। প্রথম ধাপে খাদ্য গ্রহণ করে এবং দ্বিতীয় ধাপে খাদ্য গ্রহণ না করে মাটিতে থাকে। এরা বছরে ৮ বার বংশ বিস্তার করে। এবং স্ত্রী পোকা পুরুষ পোকার সাথে মিলন ছাড়াই বাচ্চা দিতে সক্ষম। ব্যবস্থাপনাঃ সাদা রংয়ের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার। ক্ষেতে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা যায়। আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেক্সিন গ্রুপের সাইপেরিন, সাইপার অথবা ইমাডিক্লোরো ফিড গ্রুপের এডমায়ার প্রতি লিটারে ১ মিলি সাইপারমেক্সিন অথবা ইমিডা ক্লোরোফিড প্রতি লিটারে ০.৫ মিলি গাছে ৪ থেকে ৫ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে। পোকার নামঃ জাব পোকা ক্ষতির নমুনাঃ জাব পোকা দলবদ্ধভাবে পেঁয়াজ পাতার রস চুষে খায়, ফলে গাছ দূর্বল ও হলুদাভ হয়ে যায়। জাব পোকার মলদ্বার দিয়ে যে তরল পদার্থ বের হয় তাকে ’হানিডিউ’ বলে যা পাতায় আটকে গেলে সুটি মোল্ড নামক কালো ছত্রাক জন্মায়। ফলে গাছের সবুজ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবস্থাপনাঃ আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেক্সিন গ্রুপের সাইপেরিন, সাইপার অথবা ইমাডিক্লোরো ফিড গ্রুপের এডমায়ার প্রতি লিটারে ১ মিলি সাইপারমেক্সিন অথবা ইমিডা ক্লোরোফিড প্রতি লিটারে ০.৫ মিলি গাছে ৪ থেকে ৫ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে। রোগের নামঃ পার্পল ব্লচ/ব্লাইট এ রোগ পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যে কোন বয়সে গাছের পাতা ও কান্ড আক্রান্ত হয়। অধিক আক্রমনে পেঁয়াজে ফুল আসে না ও ফসল কম হয়। আক্রান্ত বীজ বেশিদিন গুদামে রাখা যায়না। বাজার মূল্য কমে যায়। অল্টারনারিয়া পোরি ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাইওসাম নামক ছত্রাকদ্বয় দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।

Comments