Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজে চলছে চরম অনিয়ম ! в хорошем качестве

জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজে চলছে চরম অনিয়ম ! 2 дня назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজে চলছে চরম অনিয়ম !

জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজে চলছে চরম অনিয়ম ! বহু কোটির অর্থ ব্যয়ে জাতীয় সড়কের কাজে চলছে চরম অনিয়ম। সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাইড ম্যানেজার দিয়ে চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। অভিযোগ! রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি সেলটেক্স গেইট থেকে বাগবাসা পর্যন্ত মোট এগারো কিলোমিটার জাতীয় সড়কের রাস্তার কাজ চলছে অতি নিম্নমানের। সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই জাতীয় সড়কের কাজের চরম অভিযোগ তুলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চুরাইবাড়িতে তিন কিলোমিটার কাজের বরাদ্দ পান টিকেদার দীপক কর। কাজের বরাত পেয়েই তিনি দ্রুতগতিতে কাজ করতে গিয়ে অতি নিম্নমানের কাজ করে যান, যে মাত্র মাস খানেকের মাথায় জাতীয় সড়কের অধিকাংশ ভেঙ্গে চৌচির। গাড়ির চাকার সঙ্গে পিচ সহ পাথর রাস্তা থেকে সরে চলে যাচ্ছে। এতে একটি জাতীয় সড়কের কাজের উপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। যেখানে প্রতিদিন শত শত ভারী থেকে ভারী যানবাহন চলাচল করছে সেখানে জাতীয় সড়কের উপর অতি নিম্নমানের কাজ সাধারণ মানুষকেও অবাক করে তুলবে এটাই স্বাভাবিক ! এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। যদিও দ্রুত কাজ শেষ করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন ঠিকেদার সহ উনার সাঙ্গপাঙ্গরা, তাই তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, এই তিন কিলোমিটার পর থেকে শনিছড়া ফরেস্ট বিট অফিস সংলগ্ন জাতীয় সড়কের আরো চার কিলোমিটারের বরাত পায় "মিনামতি এন্টারপ্রাইজের" ওপর এক ঠিকেদার রাজু দেবনাথ। তিনি কাজে লেগেই যেনো অতি নিম্নমানের কাজ উপহার দিতে মরিয়া হয়ে লেগেছেন। এক কথায় নিম্নমানের কাজের প্রতিযোগিতা চলছে জাতীয় সড়কে। চাঁনপুর এলাকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই কাজে নেই কোন ক্রস লাইন। যেখানে রাস্তার উপর পিচ সহ পাথরকে মজবুত ভাবে ধরে রাখবে। কিন্তু ক্রস লাইন না হওয়ায় মাসখানেকের মাথায় পিচ ঢালাই পাথর জাতীয় সড়ক থেকে চলে যাবে রাস্তার পাশে। তাছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে না কোন পরিমাপ যন্ত্র। কোথাও বা আধা ইঞ্চি আবার কোথাও বা দেড় ইঞ্চি এভাবে পিচ ঢালাই এর কাজ চলছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। তাছাড়াও নিয়মিত একজন ইঞ্জিনিয়ার সেখানে থাকছেন না। নামকাওয়াস্তে এসে একবার তদারকি করে চলে যাচ্ছেন। এরপর সাইড ম্যানেজারের নেতৃত্বে এই জাতীয় সড়কের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। যে সাইড ম্যানেজার প্রমোদ ভৌমিক শ্রমিকদের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন তিনি এখন ইঞ্জিনিয়ারের ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ ! এদিকে বিগত ছয় মাস পূর্বে এই জাতীয় সড়ক একেবারে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছিল। আর তার জন্য পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব সংসদে একাধিকবার চুরাইবাড়ি থেকে বাগবাসা পর্যন্ত এগারো কিলোমিটার জাতীয় সড়কের কাজ পাকাপোক্ত করার জন্য বহু কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিলোমিটার প্রতি কোটি টাকার উপর বরাদ্দ থাকলেও কাজের গুণগত মান তার ধারে কাছেও যাচ্ছে না। মেশিনের মাধ্যমে হাওয়া দিয়ে ধুলোবালি পরিষ্কার না করে শ্রমিকদের দ্বারা হাত দিয়ে তা করা হচ্ছে, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তারা আরো অভিযোগ করেন ধুলোবালি ও কর্দমাক্ত অবস্থার মধ্যেও কোথাও কোথাও পিচ এর কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা সাইড ম্যানেজারদের অভিযোগ জানালেও তা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। এখন সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন বহু কোটি অর্থ রাশি ব্যয় করে জাতীয় সড়কের নির্মাণ কাজ হলেও এক মাসের মাথায় তা ভেঙ্গে চৌচির হচ্ছে অথচ সামনেই ভরাবর্ষার মৌসুম আসছে, এতে জাতীয় সড়কের অবস্থা ভয়ংকর আকার ধারণ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিধায়ক সেদিকে কতটুকু নজর দেয়।

Comments