Скачать с ютуб Hari Katha/হরি কথা/শ্রীকৃষ্ণের, মহিমা, লীলা ও উপদেশ নিয়ে আলোচনা. в хорошем качестве

Hari Katha/হরি কথা/শ্রীকৃষ্ণের, মহিমা, লীলা ও উপদেশ নিয়ে আলোচনা.

হরি কথার মূল উদ্দেশ্য: ভক্তদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও ভক্তি জাগানো, জীবনের উদ্দেশ্য ও ধর্মীয় নীতির ব্যাখ্যা, আত্মিক উন্নয়নের পথ প্রদর্শন। 🌼 হরি কথা ? হরি কথা মানে হল ভগবান হরির (বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণ বা শ্রীরামের) লীলা, শিক্ষা ও গৌরব সম্পর্কে গল্প বলা বা আলোচনা করা। এটি ভক্তিমূলক পরিবেশে করা হয় এবং ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি প্রেম, শ্রদ্ধা ও ভক্তি জাগায়। 🕉️ শব্দ বিশ্লেষণ: হরি — ঈশ্বরের একটি নাম। বিষ্ণু বা কৃষ্ণকে বোঝায়। 'হরি' শব্দের অর্থ: যিনি আমাদের পাপ, দুঃখ ও বন্ধন হরণ করেন। কথা — গল্প, আলোচনা বা উপদেশ। অতএব, "হরি কথা" মানে দাঁড়ায় — ভগবানের লীলা ও উপদেশ সম্পর্কিত আলোচনা। 🎶 হরি কথার মধ্যে কী থাকে? শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরাম, বিষ্ণু বা অন্যান্য অবতারের লীলার বর্ণনা। ভক্তিমূলক গান (ভজন/কীর্তন)। ধর্মীয় শাস্ত্রের (যেমন ভাগবত, রামায়ণ, গীতা) ব্যাখ্যা। শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উপদেশ। ✨ একটি ছোট হরি কথা (শ্রীকৃষ্ণের লীলা): একদিন মা যশোদা দুধ বসিয়ে মাখন মথন করছিলেন। ছোট কৃষ্ণ তার কোলে উঠতে চাইল। মা তাকে কোলে নিলেন, কিন্তু হঠাৎ দুধ উথলে উঠল, তাই মা তাকে রেখে দুধ সামলাতে গেলেন। অভিমান করে ছোট কৃষ্ণ হাঁড়ি ভেঙে ফেললেন এবং সেই মাখন বানরদের খাইয়ে দিলেন। এরপর মা যশোদা তাকে দড়ি দিয়ে বাঁধতে গেলেন — কিন্তু দড়ি যতই আনেন, ততই তা ছোট পড়ে! এই লীলা থেকে বোঝা যায়, ঈশ্বরকে শুধুমাত্র ভক্তির বাঁধনে বাঁধা যায় — দড়ি বা শক্তিতে নয়। 🌸 শ্রীকৃষ্ণ কে? শ্রীকৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার — অর্থাৎ, তিনিই স্বয়ং পরম ব্রহ্ম, যিনি লীলা করার জন্য এই জগতে আবির্ভূত হন। তিনি শুধু একজন ঐতিহাসিক চরিত্র নন, তিনি ভক্তদের হৃদয়ে চিরজীবন্ত ঈশ্বর। 📜 কৃষ্ণের পরিচয় (সংক্ষেপে): জন্মস্থান: মথুরা, কারাগারে। মাতাপিতা: বাসুদেব ও দেবকী। পালক মাতাপিতা: যশোদা ও নন্দ মহারাজ (গোকুলে বড় হন)। স্ত্রী: রুক্মিণী, সত্যভামা প্রভৃতি। তিনি ছিলেন মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার ভাষ্যদাতা। 🕉️ কৃষ্ণের তিনটি প্রধান দিক: বাল লীলা (শিশু কৃষ্ণ) – গোকুল ও বৃন্দাবনে মাখন চুরি, গোপীদের সঙ্গে খেলা, কালিয়া নাগ দমন, পুতনা বধ, গিরিরাজ গোবর্ধন তোলা ইত্যাদি লীলা। রাস লীলা (ভক্তি ও প্রেম) – বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে রাস, শ্রীরাধার সঙ্গে অতুলনীয় প্রেম। এই অংশ শুদ্ধ প্রেমভক্তির প্রতীক। রাজনৈতিক ও দার্শনিক কৃষ্ণ – কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে উপদেশ দেন, যা ভগবদ্গীতা নামে পরিচিত। এখানে তিনি বলেন: "যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত..." (যখনই ধর্মের অবনতি হয়, আমি তখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হই।) 📖 কৃষ্ণের প্রধান শাস্ত্রসূত্র: শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ মহাভারত ভগবদ্গীতা হরিভক্তিসুধাকর, গীতাগোবিন্দ প্রভৃতি "হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে"