Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб B P H. Brown Plant Hopper | ধানের বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকা দমন পদ্ধতি | agriculture solution в хорошем качестве

B P H. Brown Plant Hopper | ধানের বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকা দমন পদ্ধতি | agriculture solution 3 года назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



B P H. Brown Plant Hopper | ধানের বাদামী গাছ ফরিং বা কারেন্ট পোকা দমন পদ্ধতি | agriculture solution

#কারেন্ট_পোকাঃ- বর্তমানে ধান খেতের সবচেয়ে আলোচিত ও মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা হচ্ছে "কারেন্ট পোকা" অথবা "বাদামি গাছ ফড়িং"। এ বছর বিভিন্ন এলাকায় এই পোকা নতুনভাবে ছড়িয়ে গেছে (আমাদের স্থানীয় ধানখেতেও) তাই যারা ইতিপূর্বে কীটনাষক স্প্রে ছাড়াই ধান করেছেন তাদেরও বাধ্য হয়ে স্প্রে করতে হচ্ছে। অনেক কৃষক এ পোকার বিষয়ে পরিচিত নয়, তাই উদাসীনতার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে আমরা অনলাইন গ্রুপগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই এই পোকার সম্পর্কে জেনে নিতে পারছি। তাই এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করলাম। #পরিচিতিঃ- এটি "বাদামি গাছ ফড়িং", "কারেন্ট পোকা" অথবা "গুনগুণী পোকা" নামে পরিচিত। একে BPH বা Brown Plant Hopper বলা হয়ে থাকে। এটি খুবই ছোট আকৃতির পোকা। প্রায় ৪ মিঃমিঃ লম্বা। এরা বাদামি রঙ্গের হয়। তবে বাচ্চা অবস্থায় প্রথমত সাদা হয়ে থাকে। এরা মূলত ধান গাছের গোড়ায় বা খোলে দলবদ্ধভাবে অবস্থান করে। এরা বাচ্চা থেকে পূর্ণবয়স্ক হতে ৫ বার খোলশ পরিবর্তন করে, তাই গাছের গোড়ায় মৃত খোলশও দেখা যায়। বাতাস চলাচল করে না এমন ছায়া জায়গায় থাকতে এরা পছন্দ করে। যে স্থানে ধান গাছ হেলে পড়ে সেখানেও এদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। #বংশ_বিস্তারঃ- এরা খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। এক জোড়া পোকা একবারে লক্ষাধিক পোকার জন্ম দেয়। স্যাতস্যাতে ও ছায়া, জমি, আদ্র ও গরম "গুমট" অবস্থায় অথবা পানি জমে আছে এমন জমিতে এরা দ্রুত বংশবিস্তার করে। অতিরিক্ত ইউরিয়া সারের প্রয়োগ, কুশি বেশি নেয় এমন জাত অথবা ঘন গাছ এদের জন্য অনুকূল পরিবেশ। ডিম থেকে ৭-৯ দিনে বাচ্চা হয় এবং সেটি ১৩-১৫ দিনে পূর্ণবয়স্ক পোকায় পরিনত হয়। বাচ্চা এবং পূর্ণবয়স্ক উভয় অবস্থায় এরা ক্ষতি করে থাকে। #ক্ষতিঃ- এরা ধানের জমিতে যে কোন সময় আক্রমন করতে পারে, তবে কাইচথোড় বের হওয়ার সময় থেকেই এদের আক্রমন বেশি লক্ষ করা যায়। এরা ধান গাছের গোড়ায় দলবদ্ধভাবে আক্রমন করে, দৈনিক তাদের শরীরের ওজনের ১০-২০ গুন পর্যন্ত রস শোষন করতে পারে। এতে গাছ দুর্বল, হলুদ হয়ে যায়, পরে গাছ শুকিয়ে মারা যায়। বাদামী গাছ ফড়িং গ্রাসি স্টান্ট, ব্যাগেট স্টান্ট ও উইল্টেড স্টান্ট নামক ভাইরাস রোগ ছড়ায়। এরা খুব তাড়াতাড়ি বংশবৃদ্ধি করায় এদের সংখ্যা এতো বেড়ে যায় যে আক্রান্ত খেতে বাজ পড়ার মতো হপারবার্ণ এর সৃষ্টি হয়। এদের আক্রমনে মাঠের পর মাঠ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ২০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ফসল নষ্ট হয়ে যায়। #দমন_ব্যবস্থাঃ- প্রতিরোধী আগাম জাতের ধান রোপন করে এর ক্ষতি থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও যা যা করতে হবে... ১. জমির আইল পরিস্কার রাখতে হবে। সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করতে হবে৷ (ঘন রোপন করা যাবে না) ২. আক্রান্ত জমির পানি সরিয়ে ৭-৮ দিন মাটি শুকনো রাখতে হবে৷ ৩. সুসম সার প্রয়োগ করতে হবে৷ ইউরিয়া সার মোটেও বেশি প্রয়োগ করা যাবে না। ৪. আক্রান্ত জমিতে ২-৩ হাত দূরে দূরে “বিলিকেটে” সুর্যের আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে দ্রুত বালাইনাষক স্প্রে করতে হবে। সাধারণত পাইমেট্রোজিন গ্রুপের বালাইনাষক ব্যবহার করে এদের ভালোমতো দমন সম্ভব হয়। নিচে "পাইমেট্রোজিন" গ্রুপের কিছু বালাইনাষকের নাম দেয়া হলো। ১. প্লেনাম ৫০wg - সিনজেনটা ২. পাইটাফ ৫০wg - অটো ক্রুপ কেয়ার ৩. কোটান ৫০wg- মিমপেক্স ৪. হপারশট ৫০ wg - সেমকো এগুলোতে ৫০% পাইমেট্রোজিন রয়েছে৷ এছাড়াও "পাইমেট্রোজিন+নিতেনপাইরাম" গ্রুপ সম্বৃদ্ধ কীটনাষকগুলো এদের দমনে আরো চমৎকার কাজ করে। নিচে কিছু বানিজ্যিক নাম মেনশন করা হলোঃ- ১. পাইরাজিন ৭০wg- এসি আই ২. তড়িৎ ৮০wg- হেকেম বাংলাদেশ ৩. সাবা ৮০wg- ইনতেফা ৪. রাইজিন ৮০ wg - করবেল ৫. আম্ফান ৮০wg- সেঞুরী এগ্রো লিমিটেড ৬. লকডাউন ৭০wg- ক্লীন এগ্রো ৭. গুনগুন ৮০ wp - আলফা এগ্রো লিমিটেড ৮. নাইজিন ৮০ wg - ম্যাকডোনাল বাংলাদেশ ৯. পেদা টিং টিং ৮০ wg - ব্যবিলন এগ্রিসাইল ১০. রাউটার ৮০ wg - টেনস এগ্রো (WDG- সংক্ষেপে wg দেয়া হয়েছে) এছাড়াও বায়ার এর গ্ল্যামোর, "আইসোপ্রোকার্বো" গ্রুপের সপসিন বা মিপসিন ব্যবহার করা যেতে পারে। "ইমিডাক্লোরপ্রিড" গ্রুপের কনফিডর, টিডো, ইমিটাফ ইত্যাদি ব্যবহার করেও মোটামুটি ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে (আক্রমন কম হলে)। এছাড়াও আরো অনেক কীটনাষক আছে যেগুলো ব্যবহার করে কারেন্ট পোকা দমন করা যায়। কীটনাষক যাতে গাছের গোড়ায় পৌছে... তার জন্য স্প্রে করার আগে ধান খেতে ৩-৪ হাত পর পর "বিলিকেটে" ফাঁকা করে দিতে হবে। চেনার সুবিধার্থে নিজ খেত থেকে তোলা এবং কিছু কালেক্টেড কারেন্ট পোকার আক্রমনের ছবি দেয়া হলো।

Comments