Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео




Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



যদি পুরোনো দিনের জিনিসপত্র দেখতে চাও তবে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর জাদুঘরে যাও।

যদি পুরোনো দিনের জিনিসপত্র দেখতে চাও তবে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর জাদুঘরে যাও। #বিক্রমপুর_জাদুঘর #BikrampurMuseum #যদুনাথের_বাড়ি #বিক্রমপুর_মিউজিয়াম #ঐতিহাসিকস্থান ভ্রমণ: ইতিহাস ও ঐতিহ্য ঘেরা এক জেলা হলো মুন্সিগঞ্জ। সেখানে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান আছে। যারা মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণে যেতে চান, তারা চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন সেখানকার বিভিন্ন স্থান থেকে। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি। ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি মিষ্টির দোকা থেকে এবার রওনা হয়ে যান ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ির দিকে। বর্তমানে এটি বিক্রমপুর জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। জমিদার যদুনাথ রায় আনুমানিক ১৯০০ সালে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামে ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। যদুনাথ রায় মূলত ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বরিশাল থেকে লবণ, সুপারি, শাড়িসহ ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে মুর্শিদাবাদে রপ্তানি করতেন। মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ির সাথে দোতলা ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ির বেশ সাদৃশ্য আছে। ভবনের সামনে আছে ৮টি থাম, যা মূলত গ্রীক স্থাপত্য শিল্পের বৈশিষ্ট নির্দেশ করে। মূল ভবনের ভেতরের দেয়ালে ময়ূর, সাপ ও বিভিন্ন ফুল-পাখির নকশা অঙ্কিত আছে। ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ির দরজা ও জানালাগুলো একই আকারের ফলে বদ্ধ অবস্থায় দরজা-জানালার অনুমান করা বেশ কঠিন। বাড়ির সব জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে মূল ভবন। তার মাঝখানে উঠানের অবস্থান। বাড়ির একতলা থেকে দোতলায় চলাচলের জন্য আছে একটি কাঠের সিঁড়ি। যদুনাথ সাহা তার ৫ ছেলে-মেয়ের জন্য পৃথক পৃথক বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িগুলো স্থানীয় মানুষের কাছে কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ি, উকিল বাড়ি, জজ বাড়ি ও ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে। জমিদার যদুনাথ রায়ের এ বাড়ির স্মৃতি রক্ষার্থে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গা জুড়ে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়নে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে জাদুঘর, গেস্ট হাউজ, থিমপার্ক। তিনতলা ভবনের এ জাদুঘরে প্রবেশ করতেই দু’পাশে দুটি বড় মাটির পাতিলের দেখা পাবেন। নিচতলার বাম পাশের গ্যালারি যদুনাথ রায়ের নামে। এ গ্যালারিতে বিক্রমপুরের প্রাচীন মানচিত্র, রাঘুরামপুর, নাটেশ্বরসহ বিক্রমপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া পোড়া মাটির নল, মাটিরপাত্র, পোড়া মাটির খেলনাসহ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন নিদর্শন আছে। নিচতলার ডান পাশের গ্যালারিটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে। এ গ্যালারিতে আছে ব্যাসাল্ট পাথরের বাটি, গামলা, পাথরের থালা, পোড়া মাটির ইট, টালি, বিক্রমপুরের নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ছবিসহ বিভিন্ন নিদর্শন। দ্বিতীয় তলার বাম পাশের মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিতে আছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ইতিহাস, দলিল, বই ও বিভিন্ন নমুনা। আর ডান পাশের গ্যালারিতে আছে বিক্রমপুরে জন্ম নেয়া মনীষীদের জীবন ও কর্মের বৃত্তান্ত। আরও আছে কাগজ আবিষ্কারের আগে প্রাচীন আমলে ভূর্জ গাছের বাকলে লেখার স্থান। তালপাতায় লেখা পুঁথি, কাঠের সিন্দুক, আদি আমলের মুদ্রা, তাঁতের চরকা, পোড়া মাটির মূর্তি, সিরামিকের থালাসহ প্রাচীন আমলে স্থানীয় মানুষদের ব্যবহার্য বিভিন্ন নিদর্শন। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন জাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত থাকে। কীভাবে যাবেন? ঢাকার গোলাপ শাহ মাজারের কাছ থেকে ঢাকা-দোহার রুটে চলাচলকারী বাসে চড়ে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের বালশুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে অটোরিকশায় নতুন বাজার গেলেই বিক্রমপুর জাদুঘর।

Comments