Скачать с ютуб হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী'র পরিচয়, Biography of Huseyn Shaheed Suhrawardy স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় в хорошем качестве

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী'র পরিচয়, Biography of Huseyn Shaheed Suhrawardy স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী'র পরিচয়, Biography of Huseyn Shaheed Suhrawardy #স্বাধীন_বাংলাদেশের_অভ্যুদয়ের_ইতিহাস #অনার্স_প্রথম_বর্ষ #জাতীয়_বিশ্ববিদ্যালয়_নোটিশ_বোর্ড #জাতীয়_বিশ্ববিদ্যালয়_গাজীপুর #history #ইতিহাস #hsc #short_syllabus #SSC 00:14 ব্যাক্তিগত পরিচয়ঃ হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি ছিলেন যুক্তফ্রন্টের অন্যতম একজন নেতা। গণতান্ত্র ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কারণে তাঁকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলা হয়। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। তাঁর বাবার নাম ছিলো জাহিদ সোহরাওয়ার্দি। যিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের একজন খ্যাতিমান বিচারক। তাঁর মা ছিলেন বিশিষ্ট উর্দু সাহিত্যিক খুজিস্তা আখতার বানু। লেফটেনেন্ট কর্নেল স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী ছিলেন তার মামা। তার পরিবারের সবাই তৎকালীন ভারতবর্ষের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের প্রথা অনুসারে উর্দু ভাষায় কথা বলতেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দি নিজ উদ্যোগে বাংলা ভাষা শিখেন এবং চর্চা করেন। 00:46 শিক্ষাজীবনঃ তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে। পরবর্তীতে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি তার মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৩ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মান সহ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও এখান থেকে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে ‘ব্যাচেলর অব সিভিল ল’ (বি. সি. এল.) ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে তিনি গ্রে’স ইন হতে বার এট ল ডিগ্রী অর্জন করেন। 01:27 বিবাহ ও পেশাজীবন: ১৯২০ সালে তিনি বেগম নিয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। যিনি ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা। এরপর ১৯২১ সালে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯২২ সালে তাঁর প্রথম স্ত্রী মারা গেলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন পোলিশ বংশোদ্ভূত রাশিয়ান অভিনেত্রী বেগম বীরা সোহরাওয়ার্দী। 01:51 সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক জীবনঃ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক জীবন ছিলো মূলতঃ ১৯২১ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা এবং পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ- ★ ১৯২৪ সালে কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র। ★ ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পরে ফজলুল হক কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্য মন্ত্রী। ★ ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত খাজা নাজিমউদ্দীন মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী। ★ ১৯৪৬ থেকে ৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ★ পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪-৫৫ সালে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী। এবং ★ ১৯৫৬-১৯৫৭ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। 2:36 হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডঃ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। ★ তিনি ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ★ ১৯২৯ সালে অ্যাসেম্বলি নির্বাচনের সময় তিনি বেঙ্গল মুসলিম ইলেকশন বোর্ড নামে আরেকটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ★ ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পূর্বে সোহ্‌রাওয়ার্দী কলকাতায় ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি নামে একটি দল গঠন করেন। ★ পরবর্তীতে তিনি জিন্নাহর আহবানে মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং ১৯৩৭ থেকে ৪৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে সোহ্‌রাওয়ার্দী সমগ্র প্রদেশে দলকে সংগঠিত করার কাজ করেন। ★ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পাকিস্তানের প্রথম ও প্রধান বিরোধীদল আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও সোহ্‌রাওয়ার্দীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ★ ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনেও সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল। ★ এছাড়া ১৯৩২ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ★ ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের প্রাক্কালে সোহ্‌রাওয়ার্দী সমগ্র বাংলা, আসাম ও বিহারের মানভূম, সিংভূম ও সম্ভবত পূণির্য়া জেলার সমন্বয়ে পূর্বভারতে ‘বৃহৎ বাংলা’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। 04:14 শেষ জীবন ও মৃত্যুঃ দেশবিভাগের পর তিনি তখনই পাকিস্তানে না এসে কলকাতায় থেকে যান। ১৯৪৯ সালে সোহ্‌রাওয়ার্দী পাকিস্তানের স্থায়ী বাসিন্দা নন এ অজুহাতে লিয়াকত আলী খানের সরকার পাকিস্তানের গণপরিষদ থেকে সোহ্‌রাওয়ার্দীর সদস্য পদ খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে দলীয় আপত্তি উপেক্ষা করে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভায় তিনি আইনমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৬ সালের সংবিধান প্রণয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ। বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি এবং অখণ্ড স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। মৃত্যুঃ ১৯৬৩ সালে স্বাস্থগত কারণে তিনি দেশের বাইরে যান। ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৩ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।