Из-за периодической блокировки нашего сайта РКН сервисами, просим воспользоваться резервным адресом:
Загрузить через dTub.ru Загрузить через ClipSaver.ruУ нас вы можете посмотреть бесплатно Folk Chorus song I কোরাসে লোকগানের পসরা I কেওটখলিসা লোকগানের মিলন I 75 Years of Emotion & Echoes или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Роботам не доступно скачивание файлов. Если вы считаете что это ошибочное сообщение - попробуйте зайти на сайт через браузер google chrome или mozilla firefox. Если сообщение не исчезает - напишите о проблеме в обратную связь. Спасибо.
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
৭৫ আমাদের গর্ব, ৭৫ আমাদের আবেগ, ৭৫ আমাদের স্মৃতি কেওটখলিসা ব্রতচারী সংঘ ও পাঠাগারের ৭৫তম বাসন্তী পূজা উপলক্ষে বিশেষ সাংস্কৃতিক নিবেদন — লোকগানের পসরা 📅 তারিখঃ ০৪.০৪.২০২৫ 🎤 কোরাসে অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দঃ ডলি পানিগ্রাহ মাধুরী করমহাপাত্র সুচিস্মিতা মন্ডল সচি করমহাপাত্র মানসী করমহাপাত্র 🎶 বাদ্যযন্ত্রে সঙ্গতঃ তবলা – দেবাশীষ বেরা কীবোর্ড – সুবল ঘড়াই কলসী ও তবলা – প্রীতম নায়েক কেজন – সৌম্য শুভ্র মন্ডল 📸 ক্যামেরায়ঃ সোহনজ্যোতি মন্ডল 🎬 অনুষ্ঠান পরিচালনায়ঃ সুদীপ পাত্র ও শিবপ্রসাদ মন্ডল 📡 লাইভ স্ট্রিমিংঃ Friends Studio Facebook Live-এ সরাসরি সম্প্রচার ৭৫ এর স্মৃতি এই বছরের বাসন্তী পূজা আমাদের কাছে শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়—এটি ছিল আমাদের মাটির টানে, গানের ভাষায়, এবং ঐতিহ্যের আলোয় উদ্ভাসিত এক স্মরণীয় উপলক্ষ। লোকগানের যে পসরা আমরা শ্রদ্ধার সাথে সাজিয়ে তুলেছিলাম, তার প্রতিটি সুরে ছিল মাটির ঘ্রাণ, প্রতিটি কথায় ছিল গ্রামীণ জীবনের সারল্য, এবং প্রতিটি মুহূর্তে ছিল নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রকাশ। আমরা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম সেই মানুষদের, যাঁরা বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও সংস্কৃতির প্রতি তাদের নিষ্ঠা একটুও কমেনি। যখন কোনও শিল্পীর কাছে মঞ্চ হয় আত্মপ্রকাশের একমাত্র জায়গা, তখন সেই শিল্পী নিজের সবটুকু ঢেলে দেন সেখানে। ক্ষুদে শিল্পীরা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, এবং সেই শূন্য জায়গা পূরণ করেন তাঁরাই, যাঁরা আজও শিল্পে সমর্পিত—যাঁরা ছোটবেলায় এই পথ ধরেই চলেছিলেন, এবং আজও সেই পথেই অবিচল। তবুও গ্রামবাংলার কিছু কণ্ঠ থেকে প্রশ্ন আসে— “কেন এই প্রবীণদের পারফরম্যান্স? কেন ক্ষুদে শিল্পীরা নয়?” এই প্রশ্ন যেন বিষাক্ত স্রোতের মতো ছড়িয়ে পড়ে কিছু কিছু মনের ভিতরে, আর ব্যথিত করে সেইসব শিল্পীদের, যাঁরা কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে থেকেও নিয়মিত রেওয়াজ করেন, সাধনা করেন শুধু এই আশায় যে—মাটির গান যেন মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। একজন প্রকৃত শিল্পী তো কখনোই আরেকজন শিল্পীকে বয়স বা অবস্থানের বিচারে ছোট চোখে দেখতে পারেন না— সে শিল্পী হোক প্রবীণ বার্ধক্যজর্জর, অথবা শিশুমনের কোমলতায় ভরপুর একজন ক্ষুদে প্রতিভা। কারণ শিল্পের চোখে সবাই সমান—সেখানে শুধু মনের সুরটাই বড় কথা। আর এই মঞ্চে, এই পারফরম্যান্সে ছিল শুধুই ভালোবাসা, সম্মান আর শ্রদ্ধার নিবেদন। মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে, হৃদয়ে গেঁথে গেছে লোকগানের সুর। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে সেদিনের আয়োজন "সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা"—বিশেষ করে কোষাধ্যক্ষ মহাশয়ের কাছে এই মধুর নাম **“হরে কৃষ্ণ হরে রাম”**ও তিক্ততার জন্ম দিয়েছিল। সাংস্কৃতিক সম্পাদককেও অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, বিভিন্ন দিক থেকে I এমনকি তিনি সরাসরি ওই শিল্পীদের কটুক্তি করেন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে এই সাংস্কৃতিক ধারাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তার এই মন্তব্য বহুজনের কাছে প্রকাশিত হওয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই শিল্পীদের মনে গভীর ব্যথার সৃষ্টি করে, যাঁরা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন এই গানের সন্ধ্যায়। আমরা বুঝেছি—শিল্প, শিল্পী, আর শিল্পসত্তা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও এক নয়। এই প্রবীণ মা-বুড়িদের চোখে-মুখে আমরা দেখেছি অভিজ্ঞতার আলো, আত্মত্যাগের দীপ্তি, আর সুরের মধ্যে দিয়ে জীবনের গল্প। তাঁদের পারফরম্যান্স হয়ে থাকবে আমাদের ‘৭৫’-এর স্মৃতিতে—অম্লান, অনন্য। আমাদের কামনা—এই গ্রামীণ সংস্কৃতি আরও প্রসার পাক, নতুন প্রজন্ম আরও সাহসিকতার সাথে এগিয়ে আসুক। কিন্তু সেই সঙ্গে প্রাচীন প্রজন্মের অভিজ্ঞতা, নিষ্ঠা ও ত্যাগ যেন আমাদের পথনির্দেশক হয়। দেখা হবে শতবর্ষের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে—“১০০-তে একসাথে।” গ্রাম, মানুষ, গান, স্মৃতি আর ভালোবাসার এক অনবদ্য উৎসবে। ~সৌম্য শুভ্র মন্ডল