Русские видео

Сейчас в тренде

Иностранные видео


Скачать с ютуб পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশায় ভুগছে বিনিয়োগকারীরা Dhaka Stock Exchange - BD Stock Market Analysis (DSE) в хорошем качестве

পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশায় ভুগছে বিনিয়োগকারীরা Dhaka Stock Exchange - BD Stock Market Analysis (DSE) 4 месяца назад


Если кнопки скачивания не загрузились НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru



পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশায় ভুগছে বিনিয়োগকারীরা Dhaka Stock Exchange - BD Stock Market Analysis (DSE)

পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশায় ভুগছে বিনিয়োগকারীরা Dhaka Stock Exchange - BD Stock Market Analysis (DSE) বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষত এর পতন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আগে, পুঁজিবাজারের কার্যপ্রণালী এবং এর প্রভাব নিয়ে সংক্ষেপে একটি ধারণা দেওয়া প্রয়োজন। পুঁজিবাজার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সুরক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যে পতনের ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে লাগাতার পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডিএসই (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) এবং সিএসই (চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) উভয় বাজারেই সূচকের নিম্নগতি, শেয়ারের মূল্যে পতন, এবং লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রধান সূচকগুলো যেমন ডিএসইএক্স সূচক বিগত কয়েক মাসে ধারাবাহিকভাবে কমে এসেছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পতনের কারণসমূহ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে পতনের পিছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করছে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো: 1. অর্থনৈতিক মন্দা ও বৈশ্বিক প্রভাব বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ পরবর্তী মন্দা, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। 2. মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সংকট পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট (লিকুইডিটি ক্রাইসিস) একটি বড় কারণ। ব্যাংকিং খাতেও তারল্য সংকট দেখা দেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বাজারে নতুন মূলধন আনতে সাহস পাচ্ছেন না। 3. প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (যেমন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান) বাজারে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়। তাদের এই সঙ্কোচনের ফলে বাজারে চাহিদার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। 4. বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট আগের বিভিন্ন সময়ের ধসের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এখনও বাজারের উপর আস্থা স্থাপন করতে পারেননি। বিশেষত, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির ভয়ে পুঁজিবাজারে আসতে ভয় পাচ্ছেন। 5. নীতিগত সীমাবদ্ধতা ও নিয়ন্ত্রক ব্যর্থতা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কিছু নীতিগত সীমাবদ্ধতা এবং বাজার পর্যবেক্ষণে তাদের ব্যর্থতা একটি বড় কারণ। বিশেষত, নতুন আইপিও (Initial Public Offerings) এবং বাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দুর্বলতা পুঁজিবাজারের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে। 6. মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার বৃদ্ধি দেশের অভ্যন্তরে মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার থেকে সঞ্চয়পত্র এবং অন্যান্য নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে আকৃষ্ট করছে। পতনের প্রভাব পুঁজিবাজারের পতন দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। প্রধান প্রভাবগুলো হলো: 1. বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি শেয়ারের মূল্য কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে ফেলছেন। 2. বাজারের স্থিতিশীলতা হ্রাস পুঁজিবাজারের উপর আস্থাহীনতা এবং তারল্য সংকটের কারণে বাজারের স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। 3. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা পুঁজিবাজারের অবস্থা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। অনেক কোম্পানি নতুন পুঁজি সংগ্রহ করতে পারছে না, যা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করছে। 4. বেকারত্ব বৃদ্ধি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না থাকায় এবং ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে সমস্যা হওয়ার কারণে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটছে। সম্ভাব্য সমাধান পুঁজিবাজারের পতন রোধে এবং বাজার স্থিতিশীল করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে: 1. বাজারে তারল্য নিশ্চিতকরণ ব্যাংকিং খাতে তারল্য সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বাজারে তারল্য সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। 2. বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিএসইসিকে আরও কঠোরভাবে বাজার মনিটর করতে হবে। 3. সুষ্ঠু নীতি প্রণয়ন সরকারের উচিত একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা, যেখানে বাজারের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব। 4. প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও প্রণোদনা দেওয়া হলে তারা বাজারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। 5. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সচেতনতা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।

Comments